অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বউবাজারে সোনার দোকানগুলি পরিদর্শনে (Bowbazar House Crack) করল কলকাতা পুলিশ, KMRCL, পুরসভা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল। পরিদর্শনের পর বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখনকার মতো ব্যবসা চালিয়ে গেলেও, না সারালে সমস্যা হবে। কিন্তু ধনতেরাসের আগে দু'টো দিন ব্যবসা করতে দেওয়ার আর্জি ব্যবসায়ীদের (Kolkata Metro)।
বউবাজারে দোকানে দোকানে ঘুরে পরিস্থিতি পরিদর্শন
'জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে চলে যেতে হবে আমাদের', 'ছাড়পত্র' কবিতায় লিখেছিলেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। মেট্রোর সুড়ঙ্গে বিপত্তিতে যে ঘরে দেওয়াল জুড়ে ক্ষতচিহ্ণের আঁকিবুকি চোখে পড়ছেন এই মুহূর্তে, বর্তমানে সেটি অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ফেডারেশনের ছাত্রাবাস। সিপিআই-এর দাবি, এই ঘরের এই টেবিলে বসেই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য লিখেছিলেন 'ছাড়পত্র' কবিতাটি।
সিপিআই-এর সম্পাদক মণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, "সুকান্ত ছাড়পত্র লিখেছিলেন। সে যা অবস্থায় রয়েছে বলার নয়।" বউবাজারে এখনও অনেকে সপরিবারে ঘরছাড়া। কারও দোকানে তালা ঝুলছে, কেউ বা ভয়ে ভয়ে দোকান খুলেছেন কোনও রকমে।
প্রথম বার বিপর্যয় যদিও নেমেছিল তিন বছর আগেই (Kolkata News)। তার পর নোভেল করোনাভাইরাসের ধাক্কা। এ বছর ক্ষতিটুকু পুষিয়ে নেওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিলেন ব্য়বসায়ীরা। কিন্তু বিধি বাম। তাই 'স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি'র বাবলা দে বলেন, "ক্ষতিপূরণ চাই না। সারিয়ে দেওয়া হোক। ২টো দিন ব্যবসা করতে দেওয়া হোক।"
আরও পড়ুন: Ultodanga News: উল্টোডাঙাতেও এ বার হদিশ মিলল থোক থোক টাকা, নগদেই উদ্ধার ১.৫ কোটি
বুধবার, বউবাজারে সোনার দোকানগুলি পরিদর্শনে যায় কলকাতা পুলিশ, KMRCL, পুরসভা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল। অনেকেরই দোকান বাড়িতে। যাঁরা দোকান খুলেছেন ও যাঁরা খুলতে পারেননি, এই রকম বেশ কয়েকজনের বাড়ি ঘুরে দেখেন তাঁরা।
পরিদর্শনের পর যাদবপুরের বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখনকার মতো ব্যবসা চালিয়ে গেলেও, পরে না সারালে সমস্যা হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য বলেন, "ইন্সপেকশনের পর দেখছি, ছাপাখানার এলাকা দেখলাম, কিছু দোকানে ব্যবসা করা যেতে পারে। তবে পরে সারিয়ে নিতে হবেই।"
ধনতেরাসের আগে মাথায় হাত স্বর্ণশিল্পীদের
এ নিয়ে কলকাতার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, "সোনার দোকান পুরো ইন্সপেকশন করে খুলতে হবে। তারপর বলা আছে। রাজনৈতিক ভেদাভেদ করি না তাই আসা হয়েছে।" এ দিন, বৌবাজারের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠকও হয়। বৈঠকে ছিল KMRCL, কলকাতা পুলিশ, পুরসভা ও যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ দল। সব মিলিয়ে, বউবাজারের বাসিন্দাদের প্রশ্ন একটাই, এই সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান কবে হবে!