ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা :বৃহস্পতিবার বিকেলের পর শুক্রবার সকালে ফের সন্দেশখালিতে যায় সিবিআই। এদিনও আকুঞ্জিপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যায় টিম সিবিআই। সিবিআইয়ের সঙ্গে রয়েছেন ৫ই জানুয়ারি সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হওয়া ইডির ২ জন আধিকারিকও। নিয়ে যাওয়া হয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। তল্লাশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি, আজ সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়াও চালাচ্ছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের হাতে এসেছে শেখ শাহজাহানের কল ডিটেলস। কল ডিটেলস থেকে সামনে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। সিবিআই সূত্রে খবর, ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার সময়, শেখ শাহজাহানের একটি ফোন থেকে ৩ টি কল করা হয়। আরেকটি ফোন থেকে প্রায় ১৮ টি ফোন কল করা হয়। ওই দিনই সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো ফোন করেছিলেন শেখ শাহজাহানকে। ২ জনের মধ্যে প্রায় দেড় মিনিট কথা হয়। এর পাশাপাশি, পঞ্চায়েতের নেতা ও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নম্বরও কল লিস্ট থেকে পাওয়া গেছে বলে খবর সিবিআই সূত্রে।
কী কথা হয়েছিল সেদিন বিধায়ক মাহাতোর সঙ্গে ? সুকুমারের দাবি, ' আমি ফোন করেছিলাম। ফোন করে বললাম যে, ভাই মারপিট-ভাঙচুর এগুলি যেন না হয়, দলের থেকে আমাকে বলছে, আপনি দেখুন। বলেছে, আমি তো জানি না, আমি ছিলাম না, এইটুকু বলেছে। আমি বললাম, কোনও যেন ভাঙচুর না হয়, কোনওভাবে যেন মারধর না হয়, ED'কে মারধর না হয়। ততক্ষণে হয়ে গেছে ঘটনাটা। '
সূত্রের দাবি, সেদিনের ঘটনার পরই বাড়ির কাছে মাছের ভেড়িতে চলে যায় শেখ শাহজাহান। সেখানে তাঁর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে মিটিং করেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা। পরিবারের বাকি সদস্যদেরকে, সন্দেশখালিতেই বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেয় শেখ শাহজাহান। নিজে আত্মগোপন করে থাকে একাধিক দ্বীপে। মাছের ভেড়ি থেকে বাইকে করে পালায় শেখ শাহজাহান। ঘটনার ২-৩ দিন পর পর্যন্তও তাঁর সঙ্গে ছিলেন দেহরক্ষীরা।
অন্যদিকে, জানা যাচ্ছে, সিবিআই হেফাজতে যাওয়ার পর কার্যত গুটিয়ে গিয়েছেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা। শরীরি ভাষায় এসেছে চোখে পড়ার মতো বদল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ঘেরাটোপে,শুক্রবার মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য শেখ শাহজাহানকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। শনিবার ফের আদালতে তোলা হবে শেখ শাহজাহানকে।
আরও পড়ুন :