সন্দীপ সরকার, কলকাতা: এবার প্রশ্নের মুখে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে (government hospitals) ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানের (Fair Price Medicine Shop) পরিকাঠামো। ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন শপ নিয়ে একগুচ্ছ অনিয়মের কথা উঠে এল খোদ স্বাস্থ্য দফতরের পারফরম্যান্স রিভিউ মিটিংয়ে (Review Meeting)। পাল্টা অভিযোগ করেছেন ন্যায্য মূলের ওষুধ বিক্রেতারা।
প্রশ্নের মুখে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের পরিকাঠামো
Fair Price Medicine Shop অর্থাৎ ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে দুর্নীতি রুখতে ও দালালরাজ আটকাতে বেশ কয়েক বছর আগে সরকারি হাসপাতালে এই দোকান তৈরি করে সরকার। কিন্তু ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের বিরুদ্ধেই উঠছে অন্যায্য কাজকর্মের অভিযোগ। একগুচ্ছ অনিয়মের কথা উঠেছে খোদ স্বাস্থ্য দফতরের পারফরম্যান্স রিভিউ মিটিং-এ।
গত ২৬ জুলাই স্বাস্থ্য ভবনে এই বৈঠক হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বৈঠকে রাজ্যের ১১৮টি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা হয়। সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্য ভবনের পিপিপি সেলের আধিকারিকদের অভিযোগ, অত্যাবশ্যকীয় ১৪২টি ওষুধের সবগুলি পাওয়া যায় না ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে।
কিছু কিছু দোকানের ওষুধের গুণগত মান ঠিক নেই। হাড়ের চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধ অমিল। ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে ওষুধ পেতে অনেক দেরি হয়। পাওয়া গেলেও সরকারি রেটে পাওয়া যায় না।
এছাড়াও উঠেছে অবৈধভাবে ব্যবসা করার অভিযোগ। ড্রাগ লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ ছাড়াই অনেকে দোকান চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ। সরকারি চুক্তি ফুরিয়ে গেলেও অনেক দোকান চলছে। মেটানো হচ্ছে না ভাড়া ও বিদ্যুতের বিল। এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের নির্দেশ, যে সব হাসপাতালে ফেয়ার প্রাইস মনিটরিং কমিটি নেই, সেখানে অবিলম্বে তা তৈরি করতে হবে। জেলার ক্ষেত্রে সমস্যা হাসপাতালে মেটানো না গেলে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানাতে হবে। যাদের ড্রাগ লাইসেন্স নেই, বা যারা ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির টাকা জমা দেয়নি, ১৬ অগাস্টের মধ্যে সব কিছু ঠিক করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: Bolpur : মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ভূমি সংস্কার আধিকারিককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ !
যদিও পাল্টা অভিযোগ তুলেছে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, জেনেরিক নাম লেখার পরিবর্তে ব্র্যান্ডেড ওষুধ প্রেসক্রাইব করছেন কিছু চিকিৎসক।
কোনও কোনও হাসপাতালই জেনেরিক ওষুধ প্রত্যাখ্যান করছে। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে টাকা বাকি পড়ে আছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২৫টি হাসপাতালের ফেয়ার প্রাইস শপকে চিহ্নিত করা হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। যে সব দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলিকে এ মাসের মধ্যে তার স্টেটাস রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।