পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : জাল ড্রাফটের তদন্তে নেমে ভুয়ো আধার ও প্যান কার্ড বানানোর চক্রের (Fake Aadhar and Pan Card) হদিশ পেল পুলিশ (Police)। ধৃতের বেহালার বাড়ি থেকে উদ্ধার সরকারি দফতরের রবার স্ট্যাম্প (Rubber Stamp)। এই চক্রে আর কারা জড়িত খতিয়ে দেখছে আলিপুর থানার পুলিশ (Alipore Police Station)।
কেঁচো খুঁড়তে কেউটে
একেই বলে, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! জাল ড্রাফটের তদন্তে নেমে ভুয়ো আধার, প্যান কার্ড চক্রের হদিশ পেল পুলিশ। উদ্ধার প্রচুর ভুয়ো ভোটার, আধার ও প্যানকার্ড, জাল দলিল এবং ড্রাফট। একই ছবি দিয়ে একাধিক নামে হলোগ্রাম সহ তৈরি করা হয়েছে কার্ডগুলি। ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে মধ্যমগ্রাম পুরসভার এক কাউন্সিলরের ভুয়ো রবার স্ট্যাম্প। এবং ভূমি ও রাজস্ব দফতরের ভুয়ো স্ট্যাম্প।
কীভাবে সূত্রপাত
ঘটনার সূত্রেপাত, ২০২১ সালে। আলিপুর থানা সূত্রে খবর, নামী একটি ইস্পাত প্রস্তুতকারী সংস্থা তাদের বাঁকুড়ার ইউনিটকে দেউলিয়া ঘোষণা করে। ইউনিট নিলামের জন্য বিজ্ঞাপন দেয় সংস্থাটি। নিলামে অংশ নিয়ে শেখ সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দাম দেন ১২৩ কোটি টাকা। সাড়ে বারো কোটি টাকার ড্রাফটও দেন তিনি। অভিযোগ, ভাঙাতে গেলে ব্যাঙ্ক জানায় ড্রাফটি জাল। এরপরই শেখ সিরাজুলকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতকে জেরা করে শিবশঙ্কর দাস নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। শিবশঙ্করের গাড়ি থেকে উদ্ধার একটি ২ কোটি টাকার জাল ড্রাফট। ধৃতদের জেরা করে উঠে আসে নওশাদ আলম নামে আর এক ব্যক্তির নাম।
বুধবার নওশাদকে গ্রেফতার করে আলিপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বেহালার বাড়িতে। পুলিশ সূত্রে খবর, শেখ সিরাজুল ও শিবশঙ্করের দাবি - নওশাদই জাল ড্রাফট তৈরি করে তাদের দিত।
আরও পড়ুন- 'কেউ যদি নিজেকে অরণ্যদেব ভেবে নেন, সেটা দুর্ভাগ্যজনক', কাকে নিশানা কুণালের
এদিকে, বিকিকিনির অ্যাপে ভুয়ো বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক তরুণকে। অভিযোগ, ওই বিজ্ঞাপনে বিপুল ছাড়ে পণ্য কেনার প্রলোভন দেওয়া হয়। একাধিক প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে বাঁকুড়া থেকে ১৯ বছরের এক তরণকে গ্রেফতার করল লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। ধৃতের নাম রূপম ওরফে রমাপ্রসাদ সরকার। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে অত্যাধুনিক ডিভাইস, গ্যাজেট, সিম কার্ড, ডেবিট কার্ড, স্ক্যানার, চেক বুক ও প্রায় ৬ লক্ষ টাকা।