রঞ্জিত সাউ, সল্টলেক :  ফের বড়সড় প্রতারণার পর্দাফাঁস। ফের নজরে ভুয়ো কলসেন্টার (Fake Call Center)। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দিন পুলিশ। 


প্রযুক্তিগত সহায়তার টোপে বিদেশিদের প্রতারণা করত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ।  গ্রেফতার করা হয়েছে  ১৬ জনকে । পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেক সেক্টর ফাইভের BP ব্লকের একটি অফিসে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে চলছিল প্রতারণার কারবার।

অভিযোগ, বিদেশিদের প্রযুক্তিগত সহায়তার (Technical Assistance ) প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা আদায় করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল ওই অফিসে হানা দিয়ে ১৬ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) থানার পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কম্পিউটার, হার্ড ডিস্ক, রাউটার-সহ একাধিক বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ও গুরুত্বপূর্ণ নথি। ভুয়ো কল সেন্টারের চার কর্ণধারের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

আরও পড়ুন :


মন্দিরে পুজো দিয়ে কাঁথিতে পুরভোটের প্রচারে, নিজেই বললেন 'দুয়ারে শুভেন্দু'


পুলিশ সূত্রে খবর, সেখান থেকে রাজীব ঝা, অভিষেক ভারতী সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ওই অফিস থেকে ৩৬টি কম্পিউটার, ১টি হার্ড ডিস্ক, ১৬টি মোবাইল ফোন, ৪টি রাউটার, ২টি সুইচ পোর্ট, ৩৩টি ডেবিট কার্ড, ২টি প্যান কার্ড, ৫টি রাবার স্ট্যাম্প, ১টি সোয়াইপ মেশিন, ৮টি চেক বই, ৩টি রেজিষ্টার, ১টি আই ম্যাক, ১২ পেজের কাস্টমার ডেটা লিস্ট ও নগদ ১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলার কথা। এই সংস্থার চারজন কর্ণধার দিবাকর ধারা, অরূপ তালুকদার, সম্রাট ঘোষ এবং সুরস্রী করের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।


এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ২৯ জানুয়ারি, কলকাতার ফুলবাগান এলাকায় ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মেলে। সিআইডি-র জালে আটক হয় দুই মহিলা-সহ ১১ জন। বাড়ির ছাদে মোবাইল টাওয়ার বসানো হবে, প্রথমে অগ্রিম দিতে হবে, পরে মিলবে মোটা অঙ্কের টাকা- এই টোপ দিয়েই প্রতারণা চক্র চলত। অভিযোগ আসে, ফোনে এমনই টোপ দিয়ে জেলায় জেলায় ছড়ানো হয়েছিল জাল। সেপ্টেম্বর মাসে বীরভূমের বোলপুরের বাসিন্দার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ফুলবাগানের এই বহুতলে হানা দেয় সিআইডি। তারপরই গ্রেফতার। অভিযোগকারীর দাবি, ধাপে ধাপে তাঁর কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ৪৩ লক্ষ টাকা।