নয়াদিল্লি : পশ্চিমবঙ্গ-সহ সারা দেশে কমছে করোনায় (coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা। নিম্নমুখী সংক্রমণ-হারও। এই অবস্থায় কোভিড বিধি (Covid rule) শিথিল করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিল কেন্দ্র।


বাংলায় ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হয়েছে কড়া করোনা বিধি। খুলেছে প্রথম শ্রেণি থেকে স্কুল। স্বাভাবিক হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। লোকাল ট্রেনও চলছে প্রায় স্বাভাবিক ভাবেই। অফিসমুখী কর্মীরা। খুলে গিয়েছে জিম, স্পা, পার্লার। সবমিলিয়ে ওমিক্রন আতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক হয়েছে মানুষের জীবন। এরই মধ্যে কেন্দ্রের চিঠি। 


চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ লিখেছেন, সারা দেশেই ২১ জানুয়ারি থেকে সংক্রমণ-গ্রাফ পড়তির দিকে। এই অবস্থায় সংক্রমণ-পরিস্থিতি বিচার করে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যদি বাড়তি কড়াকড়ি শিথিল করোনাবিধি পরিবর্তন করে, এমনকি তা তুলেও নিতে পারে। তবে কেন্দ্রের চিঠিতে এটাও বলা হয়েছে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা এবং সংক্রমণের হারের দিকে নজর রেখে। 

আরও পড়ুন :


কামারহাটিতে কি বরফ গলল? হুডখোলা গাড়িতে প্রচারে পাশাপাশি সৌগত ও মদন-পুত্র


বুধবারের হিসেব অনুসারে, রাজ্যে একদিনে ৪৩৯জন করোনা আক্রান্ত, ১৮জনের মৃত্যু। দৈনিক মৃত্যুতে উঃ ২৪ পরগনার সঙ্গে শীর্ষে বীরভূম। তারপরেই দার্জিলিং, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া।  এই পরিস্থিতিতে রাজ্য কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার। 


অন্যদিকে বৃহস্পতিবার, দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী কোভিড-গ্রাফ। দৈনিক মৃত্যুর পাশাপাশি, বাড়ল সংক্রমণও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৪১ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫১৪।  দেশে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৭৫৭ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ৬১৫।  এখনও পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ১০ হাজার ৪১৩ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ২৭ লক্ষ ৫৪ হাজার ৩১৫। 

যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড বিধি শিথল করলেও, মেনে চলতে হবে মাস্ক ও দূরত্ববিধি।