করুণাময় সিংহ, মালদা: অ্যাডমিট কার্ড জাল করে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে বিপত্তি। হাতেনাতে পাকড়াও ভুয়ো পরীক্ষার্থী। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার (Malda) চাঁচল কলেজে।
হাতেনাতে পাকড়াও ভুয়ো পরীক্ষার্থী: জাল অ্য়াডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকেও শেষ রক্ষা হল না। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ এসএসসির প্রাক্তন কর্তারা। এই আবহেই, মালদায় ভুয়ো পরীক্ষার্থী ধরা পড়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ছিল বিএ জেনারেলের পঞ্চম সেমিস্টারের বাংলা পরীক্ষা। মানিকচক কলেজের এক পরীক্ষার্থী পুষ্পা চৌধুরীর পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল মালদার চাঁচল কলেজে। কিন্তু পুষ্পা চৌধুরী পরীক্ষায় উপস্থিত না থেকে তাঁর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর দাস। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পর নজরে আসে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পরীক্ষকের। অ্যাডমিট কার্ডে দেখতে পান সেটি নকল। পুষ্পা চৌধুরীর ছবি তুলে সেখানে সিদ্ধান্ত শঙ্কর দাসের ছবি বসানো রয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু অ্যাটেনডেন্স সিটে রয়েছে পুষ্পা চৌধুরীর ছবি এবং নাম। ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরে ফেলতেই সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নেয়। ভুয়ো পরীক্ষার্থী বলেন, তাঁর বোন পুষ্পা চৌধুরী শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাঁর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। ঘটনা সামনে আসতেই চাঁচল থানায় অভিযোগ জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বিহার থেকে অন্য তরুণীর হয়ে টেট দিতে মালদায় এসে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন এক ভুয়ো মহিলা পরীক্ষার্থী। ঘটনায় এক পান্ডা ও এক মিডলম্য়ানকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বায়োমট্রিক দিয়ে স্থানীয় মঙ্গলবাড়ির গৌড় মহাবিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকেও পড়েছিলেন ওই তরুণী। হাতে প্রশ্নপত্রও পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, পরিদর্শকের সন্দেহ হওয়ায় এবং তাঁর কথায় অসঙ্গতি মেলায় মালদা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে টাকার বিনিময়ে অন্য়ের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসার কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম পুষ্পাঞ্জলি কুমারী। বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাসিন্দা ধৃত বছর ৩২-এর ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থী। পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া যায়, স্থানীয় পুকুরিয়ার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা এক তরুণীর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন পুষ্পাঞ্জলি। অভিযুক্তর মোবাইল ফোন থেকে ফোন করে তরুণীর স্বামী বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও মিডলম্য়ান বিজয় কুমারকে ডাকা হয়। ধৃত মিডলম্য়ান বিজয়ও বিহারের পূর্ণিয়ার বাসিন্দা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।