রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: পাড়াপড়শির চোখের সামনে দিয়েই রমরমিয়ে চলছিল নকল সারের (fake fertilizer) কারবার। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত কেউ কিছু টের পাননি। টনক নড়ল পুলিশি অভিযানে। নকল সার তৈরির অভিযোগে মুর্শিদাবাদের (Mursidabad) ইসলামপুর থেকে গ্রেফতার করা হল ইউসুফ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে।


কী ভাবে তৈরি হত সার?
কর্মচারী নাকি মালিক? ইউসুফ আসলে কে?প্রথম দিকে এই নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও পরে পুলিশ জানায়, নকল সারের যে কারখানার (factory) হদিস মিলেছে তার মালিক ইউসুফই। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নজরুলপল্লী এলাকা একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল ইউসুফ। পরে সেটি কিনে নেয়। সেখানেই চলত নকল সারের কারখানা। সম্ভবত গত রাতে সে কাউকে নকল সার পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল। তখনই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। 


বিপুল উপকরণের খোঁজ পুলিশের


সূত্রের খবর, ইসলামপুর থানা এলাকার নজরুলপল্লীর ওই বাড়িতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২ কুইন্টালেরও বেশি রাসায়নিক উদ্ধার হয়েছে। অন্তত ১৭ রকম উপাদান পাওয়া গিয়েছে ইউসুফের বাড়ি থেকে। পুলিশের ধারণা, বাজার থেকে লবণ, বালি, চিনি, সালফার জাতীয় একাধিক উপাদান কিনে ইউরিয়া,পটাশ তৈরি শিখেছিল সে। তাঁর কাছ থেকে যে পরিমাণ উপাদান পাওয়া যায় তা দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার নকল সার তৈরি করা যেত বলে আন্দাজ। শুধু কাঁচা উপকরণ নয়, তৈরি থাকা বিপুল পরিমাণ নকল সারও উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিলেছে নকল সার তৈরির একাধিক সরঞ্জাম। আজ ইউসুফ শেখকে স্থানীয় আদালতে পেশ করা হলে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
কিন্তু এত কিছু চোখের সামনে ঘটলেও পড়শিরা কেউ কিছু টের পাননি? স্থানীয়দের বক্তব্য, 'এখানে সার বানানো হয় জানতাম। কিন্তু সেটা নকল জানতাম না।' গত রাতের পর থেকে কিছুটা স্তম্ভিত সকলেই। উল্লেখ্য, বছরতিনেক আগে বহরমপুরেও এমনই একটি নকল সার তৈরির কারখানার হদিস পাওয়া গিয়েছিল। মালিককে গ্রেফতারও করা হয় সে সময়।


আরও পড়ুন: 'সত্যি কথা বললেই হয় সিবিআই নয় ইডি', তোপ মমতার