পূর্ব বর্ধমান: বেশ কিছুদিন ধরেই মহারাষ্ট্রের (Maharshra) রাজনীতিতে চলছে প্রবল ডামাডোল। অন্তর্দ্বন্দ্বে ছাড়খাড় শিবসেনা (Shiv Sena)। যার জেরে প্রভাব পড়েছে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের উপরেও। এরই মধ্যে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ঘনিষ্ঠ শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যা নিয়ে এদিন মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 


কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী:
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, 'যে সত্যি কথা বলবে, তাঁর বিরুদ্ধে হয় সিবিআই না হলে ইডি। আজ দেখলাম, মহারাষ্ট্রেও শিবসেনার একজন নেতার নামে সমস্ত সম্পত্তি অ্যাটাচ করে দিয়েছে ইডি। এইভাবে দেশ চলে না জীবন চলে। কেন ভয় দেখাবেন?'  


মহারাষ্ট্রে ডামাডোল:
মহারাষ্ট্রে শিবসেনার অন্দরে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে প্রবল দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে আর এক শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডের। একাধিক শিবসেনা বিধায়ক ও একাধিক নির্দল বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে গুয়াহাটিতে একটি হোটেলে রয়েছেন তিনি। কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট ভেঙে না বেরোলে জোট সরকারের উপর থেকে শিন্ডে অনুগামী বিধায়করা সমর্থন তুলে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। পাল্টা শিন্ডে অনুগামীদের অফিস-বাড়ি ভাঙচুর করেছেন উদ্ধব অনুগামীরা। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতির উপর নজর গোটা রাজনৈতিক মহলের। উদ্ধব-শিবিরের অভিযোগ, আড়ালে বিজেপির সমর্থন নিয়েই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে শিন্ডে গোষ্ঠী। এদিকে সারা ভারতে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরির ক্ষেত্রে বরাবর উদ্ধব ঠাকরেকে গুরুত্ব দিয়েছেন মমতা। এর আগে দুজনের দেখাও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কার্যত উদ্ধব ঠাকরের পাশে দাঁড়িয়ে এদিন বক্তব্য রাখেন মমতা। প্রতিবাদ করলেই বিজেপি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই অভিযোগ আগেও করেছেন মমতা। এই রাজ্যেও একাধিক বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। বিভিন্ন মামলার কারণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার জেরা করা হয়েছে। রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীকেও তলব করেছে সিবিআই-ইডি। সেই সময়েও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন মমতা। এদিন, শিবসেনার নেতাকে তলব করা নিয়েও একই অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, 'খোঁজ নিয়ে দেখুন কত ব্যবসায়ী দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। পাসপোর্ট অফিসে চেক করলেই তো পাবেন। ভিসা চেক করলে পাবেন। আমাকে নতুন করে বলবার প্রয়োজন নেই। এত ভয়ে ভয়ে মানুষ কেন থাকবে? মানুষ থাকবে হাসি খুশি ভাবে।' 


অগ্নিপথ নিয়েও তোপ:
এদিন মমতার বক্তব্যে জায়গা পেয়েছে কর্মসংস্থানও। অগ্নিপথের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকেও (BJP) নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, 'আমার লক্ষ্য চাকরি তৈরি করা। বিজেপির মতো নয়, বলছে ৪-৬ মাস ট্রেনিং নিয়ে তোমার চাকরির মেয়াদ ৪ বছর। তারপর তুমি কোথায় যাবে? ললিপপ খাবে? ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন, তাই লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে ওই উজ্জ্বলার মতো ৪ বছর চাকরি...মাইনে কত?' তিনি আরও বলেন, '৪ বছর দিয়ে সারা জীবন চলবে তো? ৪ বছর চাকরি করার পর কোথায় যাবে ছেলেমেয়েরা। আমরা দাবি করছি, ৪ বছর নয়, চাকরিটা ৬০ বছর পর্যন্ত দিতে হবে। প্রয়োজনে ৬৫ বছর করতে হবে। আমরা টিচারদের বিশেষ করে, মেডিক্যাল প্রফেসনে আছে আমরা ৬৫ করে দিয়েছি। ৪ বছরে কিছু হবে না।'


আরও পড়ুন: 'ধান ফিরিয়ে দিলে এফআইআর করুন', কৃষকদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর