কলকাতা: রাজ্যে ফের নকল ওষুধের পর্দাফাঁস। গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল ডায়াবেটিসের ওষুধ। গুণমান যাচাইয়ের ফেল গ্লিমিপিরাইড 2mg ওষুধ। একই কোম্পানির তৈরি ৪টে আলাদা আলাদা ব্যাচ ফেল করেছে। হাওড়ার ২টি ও নদিয়ার ২টি আলাদা আলাদা ওষুধের দোকান থেকে নমুনা সংগ্রহ। ৪টি নমুনাই ফেল করেছে গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায়। ওষুধগুলি নিম্নমানের বলে রিপোর্টে জানিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। স্ট্রিপ খোলা মাত্রই গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে ওষুধ, উল্লেখ রিপোর্টে। সবকটি ওষুধই তৈরি হয়েছে দক্ষিণ সিকিমের নামচির একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থায়।
আরও পড়ুন, এবার মায়ের পরিচয় জোগাড় করে ভারতীয় ভোটার হলেন বাংলাদেশি মহিলা ! SIR আবহে গুরুতর অভিযোগ দেগঙ্গায়
ফের রাজ্যে ধরা পড়ল নিম্নমানের ওষুধের চক্র! গুণমান পরীক্ষায় ফেল করল ৪টি আলাদা দোকান থেকে নেওয়া, একই কোম্পানির একই ডায়াবেটিসের ওষুধের ৪টি ব্যাচ। উদ্বিগ্ন চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ। আপনি কি ডায়াবেটিক? বেশ কিছুদিন ধরে গ্লিমিপিরাইড 2mg খাচ্ছেন, কিন্তু লাভ হচ্ছে না? তাহলে এখনই সাবধান হন।কারণ সমস্যা থাকতে পারে আপনার ওষুধেই!রাজ্যে নিম্নমানের ওষুধ চক্রের জাল কত গভীরে ছড়িয়ে, তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল গুণমান পরীক্ষায়।ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দামি ওষুধ হল গ্লিমিপিরাইড 2mg। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, একই কোম্পানির তৈরি এই ওষুধের ৪টি আলাদা আলাদা ব্যাচ ফেল করেছে গুণমান যাচাইয়ে!হাওড়ার ২টি ও নদিয়ার ২টি দোকান থেকে সংগ্রহ করা হয় নমুনা। ৪টি নমুনাই ফেল করেছে গুণমান পরীক্ষায়। ওষুধগুলি নিম্নমানের বলে রিপোর্টে জানিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, স্ট্রিপ খোলা মাত্রই গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে ওষুধ।সবকটি ওষুধই তৈরি হয়েছে দক্ষিণ সিকিমের নামচির একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থায়। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলকে জানিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। ডায়াবিটিস হল এমন একটি অবস্থা, যেখানে শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় যে সমস্ত রোগ মানুষের ঘাড়ে চেপে বসেছে, তার মধ্যে প্রথম সারিতেই ডায়াবেটিসকে রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’। এমনই কী টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস বাসা বাঁধছে শিশু-কিশোরদের শরীরেও।চিকিৎসকরা বলছেন, অনেকের ক্ষেত্রেই রোগের বীজ লুকিয়ে থাকে জিনে। সঠিক সময়ে উপসর্গ চিনতে না পারলে এবং চিকিৎসা শুরু না হলে মৃত্যু অবধারিত। টাইপ-১ ডায়াবেটিস নিয়ে কাজে নজির গড়েছে ‘বাংলার মডেল’। পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। রাজ্যের ইনোভেটিভ স্বাস্থ্য মডেলকে স্বীকৃতি দিয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট ডায়াবিটিস’। এই খুশির খবরের মধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের রিপোর্ট।