অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ওয়ার্ডেই কি ভোটার তালিকায় লুকিয়ে আছে ভুয়ো ভোটার? নেত্রীর নির্দেশে ভোটার তালিকার স্ক্রটিনি করতে বেরিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'গত ৮-১০ বছর ধরে নেই। কিন্তু আমরা আগের ভোটগুলোতেও দেখেছি, কিন্তু ভোটের সময় ওই ঠিকানায় এসে সব ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছে।'
ভোটার তালিকায় ভিনরাজ্যের ভোটারদের নাম ঢোকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্ক্রুটিনি করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'প্রত্যেকটি দেখতে হবে কিন্তু। ছেড়ে দিলে চলবে না। হরিয়ানা ভর্তি। ভোটার লিস্ট নিয়েছে, ঢুকিয়ে দিয়েছে। অনলাইনে দিল্লি থেকে করছে।'
নেত্রীর নির্দেশ মতো, বুধবার ভোটার তালিকা ধরে স্ক্রুটিনি করতে বেরোন কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের স্ত্রী। এই ওয়ার্ডেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। তৃণমূল কাউন্সিলর কাজরী বন্দোপাধ্যায়ের অভিযোগ, সেখানেই প্রায় দেড়শো এমন ভোটার রয়েছেন, যারা এলাকায় থাকেন না, অথচ বছর বছর ভোট দিয়ে যান।
আরও পড়ুন, রাতে মা-কে হাসপাতালে ভর্তি ছেলের, সকালে বাইরে পড়ে মৃতদেহ! হাওড়ায় তুমুল চাঞ্চল্য!
তিনি এও বলেন, 'আমাদের কিছু মানুষ এখানে রয়েছেন ধরুন ১৫০-২০০-র মতো। যারা এখানে থাকেন না। বাড়ি বিক্রি হয়ে গেছে। কিন্তু ভোটার নামও রয়েছে এবং তারা এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। আমরা তো মনে করি বিজেপি বা অন্য কোনও বিরোধী দল, বিজেপিই করছে মূলত। ঢুকিয়ে রেখে দিয়েছে. তারা ভোটের দিন এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছে এইভাবে।'
তবে, তৃণমূলের তরফে ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ ওঠার পরই নির্বাচন কমিশন বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেয়, এক এপিক নম্বর দু'জনের থাকা মানেই ভুয়ো ভোটার নয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে