সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা: অন্যের বাবাকে নিজের বাবা দেখিয়ে ভোটার তালিকায় নাম! তাও আবার অন্যের বাড়ির ঠিকানায়! ফের ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ ব্যারাকপুরের তৃণমূল পরিচালিত বিলকান্দা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এখানে বাবা ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। 

আরও পড়ুন, পুঞ্চের মান্ডি সেক্টরে ধস, সরকারি স্কুলের ২ টি ক্লাসরুম পরিণত প্রায় ধ্বংসস্তূপে !

বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন নিয়ে জাতীয় স্তরে বিতর্ক তুঙ্গে। বিহারের পর পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন কবে হবে, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। সম্প্রতি মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, কবে পশ্চিমবঙ্গে (SIR) হবে, কবে দেশের অন্য রাজ্যে (SIR) হবে, সঠিক সময়ে তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। এই নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির-নির্বাচন কমিশনের সংঘাতের মধ্য়েই একের পর এক ভুয়ো ভোটারের হদিশ মিলছে রাজ্যে কোথাও, ভোটার তালিকায় মৃতরা হয়ে উঠেছেন জীবিত! কোথাও আবার অন্যের বাবাকে নিজের বাবা দেখিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ সামনে আসছে আবার চর্চায় সেই ব্যারাকপুর, সেই তৃণমূল পরিচালিত বিলকান্দা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত বিলকান্দা দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১০ নম্বর বুথের বাসিন্দা গৌরাঙ্গ হালদার।  গৌরাঙ্গ হালদারের ছেলে রাজেশ হালদারের দাবি, তাঁর বাবাকে নিজের বাবা দেখিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন জনৈক মনোতোষ হালদার। এমনকি সেখানে বাড়ির ঠিকানা পর্যন্ত একই উল্লেখ করা হয়েছে! মনোতোষ হালদারকে ভুয়ো ভোটার বলে দাবি করেছেন রাজেশ। ব্যারাকপুরের বাসিন্দা   রাজেশ হালদার বলেন, আমার নাম রাজেশ হালদার। আমার বাবার নাম গৌরাঙ্গ হালদার। বাকি যা নাম এসেছে, এগুলো ভুয়ো ভোটার, ফলস ভোটার। এদের চিনি না আমি। আমার বাবা-মায়ের আমিই একমাত্র সন্তান। আমার দিদি ছিল। বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তার ভোটার কার্ড ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে। কিনতু এদের আমি চিনি না।  এই ঘটনা সামনে আসতেই আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। রাজ্য বিজেপির বুথ সশক্তিকরণ কো ইনচার্জ ভক্ত বিশ্বাস বলেন, তৃণমূলের যারা নেতা আছে, তারাই ভোটার তালিকায় এই নাম যুক্ত করাচ্ছে। এরা সবাই বহিরাগত। তৃণমূলই করাচ্ছে তাদের ভোটব্যাঙ্কের জন্য। যতক্ষণ না এরাজ্যে এই SIR কার্যকর হচ্ছে, ততক্ষণ এই ভুয়ো ভোটারগুলো, এই ভাড়াটে ভোটারগুলো, ভাড়াটে বাবা, এগুলো সমপূর্ণ রূপে মানুষের সামনে আসবে না।   ব্যারাকপুর (২) পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল নেতা ও সভাপতি প্রবীর রাজবংশী বলেন, ওরা জানল কী করে বাবা ভাড়া করা হয়েছে। নির্বাচনের যে সাবজেক্ট, ওরা বোঝে না। না বুঝেই এই সব করছে।আমরা সম্পূর্ণ আইনি পথে চলছি। আমাদের পঞ্চায়েত সমিতি অত্যন্ত সিরিয়াস। ভুল হয় না, বলছি না। আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছি। পরবর্তীকালে এরকম অভিযোগ যদি আমাদের কাছে আসে, আমরা নিশ্চয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব। সব মিলিয়ে ভুয়ো ভোটার নিয়ে বিতর্ক দিনে দিনে বাড়ছে!