সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: বাড়ির অমতে বিয়ে। তাই TMCP নেতা জামাইকে ডেকে এনে, বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা (Father In Law Allegedly Beats Son In Law) শ্বশুরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur News) ইটাহারে। থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে খোঁজ নেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার।


কী ঘটেছিল?
কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া রিজওয়ানুরকাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্য়কে। এবার উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে, বাড়ির অমতে বিয়ে করায়, জামাইকে ডেকে এনে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল প্রতিষ্ঠিত ব্য়বসায়ী শ্বশুরের বিরুদ্ধে!  আক্রান্ত জামাই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক। আর অভিযুক্ত শ্বশুর বর্তমানে তৃণমূলের নেতা। একুশের বিধানসভা ভোটে তিনি বিজেপির প্রার্থীও ছিলেন। ইটাহারের বাসিন্দা, শ্রেয়সী কুণডুর দাবি, মাস তিনেক আগে একটি মন্দিরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক অনুপ করের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। শ্রেয়সীর বাবা অমিত কুণডু প্রতিষ্ঠিত ব্য়বসায়ী। একুশের বিধানসভা ভোটে তিনি ইটাহার কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর আবার তৃণমূলে যোগ দেন। মেয়ের বিয়ে তিনি মেনে নেননি বলে অভিযোগ। শ্রেয়সীর দাবি, সম্প্রতি রেজিস্ট্রির কথা বলে বাবা তাঁকে ও অনুপকে বাড়িতে ডাকেন। কিন্তু সেখানে গেলে অনুপকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। লাঠি এবং ধারাল অস্ত্র দিয়েও অনুপকে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তবে এই ঘটনার পর থেকে তৃণমূল নেতা অমিত কুণডুর হদিশ মেলেনি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য় একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

নলিকাটা দেহ উদ্ধার...
গত এপ্রিলে শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়া মালদা জেলার গাজোল থানার নন্দলালপুর এলাকায়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে উঠে আসে, মৃত জামাইয়ের নাম মহোসেন আলম বয়স ২৭ বছর। স্ত্রীর নাম বিউটি শাবনাম। দম্পতির দুই ছেলেও রয়েছে। মৃতের বাড়ি মালদা জেলার গাজোল থানার দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহডাঙ্গা এলাকায়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে আরও খবর, ঘটনার তিন মাস আগে কাজের সন্ধানে পাড়ি ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন মহোসেন আলম নামে ওই যুবক। যে দিন দেহ উদ্ধার হয়, তার আগে রাতে ভিন রাজ্য থেকে নিজের বাড়িতে না গিয়ে সরাসরি শ্বশুরবাড়িতে দেখা করতে যান মহোসেন, এমনই জানা যায়। সঙ্গে তাঁর তিন বন্ধু ছিলেন বলে খবর। বন্ধুদের শ্বশুরবাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রেখে মহোসেন একাই স্ত্রী ও ছেলে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, শ্বশুরবাড়ির সামনেই ওই যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথম স্থানীয় গাজল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেইখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে গভীর রাতে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই যুবককে। চিকিৎসা চলাকালীন ভোররাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ি বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে তাঁক শ্বশুর নিজাম শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


আরও পড়ুন:দরজায় শরৎ, আসছেন 'মা', পুজোর আর বাকি ৫০ দিন