কলকাতা: রাখিবন্ধন মানেই কি শুধু ভাইয়ের হাতে বোনের রাখি বাঁঁধা? বর্তমানে যেমন যুগ বদলাচ্ছে, তেমনই ভাইরাও বোনের হাতে রাখি বাঁধছেন। তেমনই একটা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। ভাগ করে নিলেন এমন এক ভাই-বোনের স্নেহের গল্প, যা ছাপিয়ে যায় রক্তের সম্পর্ককেও।
অভিনেত্রী লিখেছেন এক পারিবারিক বন্ধুর কথা। একটি প্রচলিত ডায়াগোনাস্টিক সেন্টারে কাজ করেন তিনি। স্বস্তিকা বা অভিনেত্রীর বাড়ির কারও রক্তপরীক্ষা করতে হলেই ডাক পড়ে তাঁর। স্বস্তিকা লিখছেন, 'ফাল্গুনীদা। ওঁর পুরো নামটা জানি না। কোনোদিন জিজ্ঞেস করার কথাও মনে আসেনি। বাবা সব সময়, 'ওহে ফাল্গুনী', বলে ডাকত। মা আর আমরা দুই বোন নামের সঙ্গে 'দা'। আমার যখন ২০ বছর বয়স হবে, তখন থেকে ফাল্গুনীদা আমাদের বাড়িতে আসেন। তার আগে থেকে আসেন তেমনটাও হতে পারে। ঠিক মনে নেই।'
সূঁচে ভয় রয়েছে স্বস্তিকার। তবে খুব অল্পবয়স থেকেই এই মানুষটিকে ভরসা করেন স্বস্তিকা। তাঁর হাতের ইঞ্জেকশনে নাকি ব্যথা লাগে না। স্বস্তিকা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে তাঁর একটি অস্ত্রোপচার হবে। আর তার আগে, নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করতে বাড়িতে এসেছিলেন এই 'ফাল্গুনীদা'। কিন্তু রক্তপরীক্ষার জিনিস নয়, সেই দাদা তার আগে স্বস্তিকা হাতে বেঁধে দিলেন ফুলের রাখি।
সেই দাদা স্বস্তিকাকে বলেছিলেন, 'এমনদিনে তোমার কাছে এলাম! তুমি একা একা থাকো। সামনে একটা পরীক্ষা, কত সাহস তোমার। বাবা আছেন কিন্তু, সব ভাল হবে। তুমি হাসপাতাল থেকে ফিরলে জানিও, আমি এসে দেখে যাব।' সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই দাদা ও রাখি বাঁধা হাতের ছবিও শেয়ার করে নিয়েছেন খুশি স্বস্তিকা, ভেসেছেন আবেগেও।
শেষে অভিনেত্রীর এই দাদা তাঁর বয়স জিজ্ঞাসা করেন, তারপরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, '২০ ছিলে তো সেদিন, এত কি করে বড় হয়ে গেলে?' তারপরে বেরতে গিয়ে স্বস্তিকার বাবার ছবি দেখে বলেন, 'হ্যাঁ গো, বাবার ছবিতে রোজ একটু ধূপ দেখাও তো? তোমার কাছেই আছেন কিন্তু'। স্বস্তিকা জানান, রোজ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বস্তিকার এই লম্বা পোস্ট দেখে স্মৃতিতে আবেগে ভেসেছেন অনেকে। অনুরাগী, বন্ধুরা তাঁর সুস্থতা কামনাও করেছেন।