শান্তনু নস্কর, ক্যানিং: ঘূর্ণিঝড় অশনির (Asani Cyclone) প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) উপকূলবর্তী এলাকায়। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে ক্যানিংয়ের (Canning) মধুখালি গ্রামে ভাঙন-আতঙ্ক। দ্রুত নদী বাঁধ মেরামত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।
অশনির প্রভাব দক্ষিণ ২৪ পরগনায়: ফণী, আমফান, ইয়াস, বছর বছর নাম বদলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু মানুষের দুর্দশার কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। ভয়াবহ দুর্যোগের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। দুঃখ, দুর্দশার শেষ নেই সাধারণ মানুষের। বাঁধ ভেঙে প্লাবনের আশঙ্কায় উপকূলবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মাতলা নদী। মধুখালি (Madhukhali) থেকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার নদীবাঁধের ভগ্নদশা। আমফান (Amphan), ইয়াসের (Yaas)কথা মাথায় রেখে প্রতিমুহূর্তে বাঁধ ভেঙে প্লাবনের আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। গতকাল ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস বাঁধ পরিদর্শনে যান। দ্রুত নদী বাঁধ মেরামত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।
সমুদ্রেই শক্তি খুইয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর অভিমুখ বদল করল অশনি। এগোচ্ছে উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে। বাংলায় ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব পড়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সকাল থেকেই কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ।বেলা গড়াতেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আজ গাঙ্গেয়পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর মধ্যে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ সন্ধে নাগাদ পৌঁছবে অন্ধ্রের উত্তর উপকূলে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। তবে এখনও পর্যন্ত ল্যান্ড ফলের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলে। বিশাখাপত্তনম ও পুরীতে উত্তাল সমুদ্র। জলোচ্ছ্বাসও রয়েছে।
আরও পড়ুন: Asani Cyclone Update: ঘূর্ণিঝড়ের 'অশনি-সঙ্কেত', বিপদ এড়াতে বাতিল একাধিক ট্রেন