ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায়, কলকাতার কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারকে (Kothari Medical Centre) ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত (National Consumer Protection Court)।


ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ: এছাড়া, মামলার খরচ বাবদ অভিযোগকারীকে আরও ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে টাকা দিতে হবে অভিযোগকারীকে। এর পাশাপাশি, কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসা পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, রায়ের বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নেওয়া হবে।


ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?


২০১৪-য় মৃত্যু হয় অরুণিমা সেনের। ৩১ বছরের ওই মহিলা চিকিৎসকের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ছিল। চিকিৎসার অঙ্গ হিসেবে ল্যাপরোস্কোপিক ডাই টেস্ট করা হচ্ছিল। মৃতের পরিবারের দাবি, ২০১৪-র ৫ মার্চ, চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে চিকিৎসক জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রোগিণীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। ওইদিনই মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, পরীক্ষা প্রক্রিয়া চলার কারণেই মৃত্যু হয়েছে।                                                                                      


এদিকে বেসরকারি হাসপাতালের আকাশছোঁয়া বিল নিয়ে ফের সরব হয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এর আগেও একাধিকবার মুখ খুলেছেন তিনি। বছর ছয়েক আগে, এক বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবও চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তারপরও কি বদলায়নি ছবিটা? প্রশ্নটা উঠছে, কারণ সোমবার এসএসকেএমের ৬৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকেও ফের এনিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এদিন তিনি বলেন, "অনেকে ভাবে শুধু টাকা। অনেক হাসপাতাল আছে, অনেক টাকা দেয়। তাদের শাড়িটাও পর্যন্ত ডাক্তারদের কিনতে হয়। তাদের কমিশন দিতে হয়। জোর করেও পেসমেকার বসাতে হয়। আইসিসিইউতে বডি রাখার প্রয়োজন না হলেও, ৩দিন ডেডবডি রেখে দেয় বিল তোলার জন্য। একজন নাকি দিনে ৫০টা হার্ট সার্জারি করে।''


আরও পড়ুন: West Midnapore News: জাতীয় সড়কের উপর পণ্য বোঝাই কন্টেনারে বিধ্বংসী আগুন, আহত চালক