কলকাতা: প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ১৪ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএমে (SSKM)। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল বর্ষীয়ান পরিচালককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সকালে গড়া হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ড। পরিচালকের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শোকপ্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
চলচ্চিত্র জগতে ধাক্কা:
তত্কালীন পূর্ববঙ্গের বোগরায় জন্মগ্রহণ করেন তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র পরিচালনাই পেশা হিসেবে বেছে নেন স্কটিশচার্চ কলেজের এই প্রাক্তনী। শচীন মুখোপাধ্যায় ও দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে যাত্রিক গোষ্ঠীতে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। প্রথম ছবি উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত ‘চাওয়া-পাওয়া’। এরপর একের পর এক হিট ছবি তরুণ মজুমদারের ঝুলিতে। ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শুধু ছবিই নয়, উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি।
শোকস্তব্ধ চলচ্চিত্র জগত:
এদিন পরিচালকের মৃত্যুতে ঋতুপর্ণা বলেন, "মনটা খুবই ভারাক্রান্ত লাগছে। ওঁর সঙ্গে কাজের অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমরা প্রথম ছবি করেছিলাম আলো। যা বাংলা সিনেমায় একটি বড় জায়গা তৈরি করে দিয়েছিল। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটি ল্যান্ডমার্ক ছবি। এরপর চাঁদের বাড়ি করেছি। সম্প্রতি ভালবাসার বাড়ি ছবিটি করেছি। উনি বাংলা সিনেমার স্তম্ভ। ওঁর অবদানের শেষ নেই।" বর্ষীয়ান চিত্র পরিচালকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ শতাব্দী রায়, রঞ্জিত মল্লিক, গৌতম ঘোষের। গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী সৌমিলি বিশ্বাসও।
আরও পড়ুন: 'মনটা খুবই ভারাক্রান্ত লাগছে', তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া ঋতুপর্ণার