সুদীপ্ত আচার্য ও জয়ন্ত পাল, কলকাতা: বাঙুরে পেট্রোল পাম্পের (Bangur Petrol Pump) পাশে বহুতলে আগুন (Fire)। প্রথমে ঘটনাস্থলে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন আসে। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে মোট ১০টি ইঞ্জিন আনতে হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বহুতলের সামনে একটি ল্যাম্পপোস্টে লাগানো ব্যানারে আগুন লাগে। সেখান থেকেই সামনের বহুতলে ছড়ায়।
কী পরিস্থিতি?
দেড় ঘণ্টা পার করেও দাউ দাউ করে জ্বলছে বহুতল। দোতলা থেকে বহুতলের তিন তলায় আগুন ছড়িয়ে যায় অল্পক্ষণেই। ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি অবশ্য জানান, রেস্তোরাঁ থেকে বহুতলে আগুন ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সন্ধে ৬টা নাগাদ বহুতলের লাগোয়া ল্যাম্পপোস্টে প্রথম আগুনের ফুলকি দেখা যায়। সেখান থেকে ল্যাম্প পোস্টে টাঙানো একটি ব্যানারে আগুন ধরে যায়। বাইরে তখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ঝড়ের তোড়ে আগুনের ভয়াবহ রূপ নিতে দেরি হয়নি। পাশের বহুতলের একতলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে স্টেশনারি দোকান ছিল। দমকলমন্ত্রীর অভিযোগ, ওই রেসিডেন্সিয়াল জায়গা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। কিন্তু যে ঝড়-বৃষ্টির মধ্য়ে যে দ্রুততায় তা ছড়িয়ে পড়ে, তাতে প্রমাদ গুনেছেন অনেকেই। তার উপর যেখানে এই অগ্নিকাণ্ড, তার খুব কাছেই একটি পেট্রল পাম্প রয়েছে। সব মিলিয়ে বিপর্যয়ের তীব্র আশঙ্কা।
গড়িয়ায় আগুন...
এপ্রিলেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল গড়িয়ায়। ব্রহ্মপুর বাজারে কাঠের গুদামে আগুন লাগে সে বার। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ক্রমশ সেই আগুন ছড়িয়েও পড়ে। পাশের নির্মীয়মাণ বহুতলেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মাঝে-মধ্যেই শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ। সরু রাস্তার মধ্যে অবস্থিত গুদামের আগুন নেভাতে আসে ছোট ফায়ার টেন্ডার। পাশাপাশি বাড়িও ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। আশেপাশে উঁচু বাড়ির ছাদ থেকে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই গুদামে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। বহুদিন বন্ধই ছিল গুদাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ব্রহ্মপুরের ওই কাঠের গুদামে আগুন লাগে। প্রচুর কাঠ মজুত থাকায় দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গুদাম। আশেপাশে অনেক বাড়ি ও দোকান থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা হওয়ায় স্থানীয় মানুষ আতঙ্কিত। তারাই বাড়ি থেকে বালতি করে জল তুলে এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কী থেকে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, দমকলের ইঞ্জিন পাঠাতে বেশ কিছুটা দেরি হয়। ততক্ষণে দাহ্য কাঠে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়। আগুন নেভাতে কার্যত হিমশিম খান দমকল কর্মীরা। এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর । তিনি যদি ওবলেন, আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনাটাই লক্ষ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।