হাওড়া: নবান্নর ১৪ তলায় অগ্নিকাণ্ড। বারোটা নাগাদ ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ধোঁয়া প্রথমে চোখে পড়ে সেখানে মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের চোখে। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেন। ঘটনাস্থলে একের পর এক ছুটে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীরা যে জায়গায় ধোঁয়া বেরিয়েছে, সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে জানা গিয়েছে, আগুন সেরকম ভয়াবহ কিছু নয়।
এসি-র কোনও পাইপ থেকে আগুন ধরেছে বলে দমকলের প্রাথমিকভাবে অনুমান। সেখান থেকেই ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কী কারণে আগুন? তা আগুন নেভানোর পর খতিয়ে দেখা হবে।
গত সোমবারই কলুটোলা স্ট্রিটে একটি গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। এলাকায় প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। ঘিঞ্জি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের কারণে আতঙ্কে আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা বেরিয়ে আসেন।
কখনও গার্ডেনরিচ, কখনও লেকটাউন জয়া সিনেমা, কখনও আবার নিমতলা ঘাট স্ট্রিট। একের পর এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছেন শহর। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের জেরে নড়েচড়ে বসে দমকল দফতর। বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে ফায়ার অডিট করানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। গার্ডেনরিচের পর শহরে পরপর দু’দিন, ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর নিমতলা ঘাট স্ট্রিট ও গার্ডেনরিচে, বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসে দমকল দফতর। বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে ফায়ার অডিট করানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। দমকল সূত্রে দবি, দুটি জায়গাতেই পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। ফায়ার লাইসেন্স বা অন্যান্য কাগজপত্র কোথাও মেলেনি।
সম্প্রতি দমকল দফতরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, গোটা রাজ্যে ফায়ার অডিট করাতে সাহায্য নেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থার। কেন এই সিদ্ধান্ত? দমকল সূত্রে খবর, গোটা রাজ্যে দোকান, বাজার, শপিং মল, আবাসন, সহ বিভিন্ন জায়গায় ফায়ার অডিট করানোর ক্ষেত্রে কর্মীসংখ্যা সীমিত। তাই এজন্য বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হবে।