আবীর দত্ত ও ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: নিমতলার (nimtala) মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে কাঠের (warehouse) গুদামে আগুন (fire)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে দমকলের (fire department) ছয়টি ইঞ্জিন। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। প্রশাসন জানিয়েছে, এদিন সকালে হঠাতই ধোঁয়া দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। আতঙ্কের চোরাস্রোত দেখা দেয়। খবর যায় দমকলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জোড়াবাগান থানার পুলিশও। কী থেকে আগুন এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আশপাশের বাড়ি ও দোকানের সকলেই আগুনের আতঙ্কের বাইরে চলে আসেন। অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। কাঠ যেহেতু দাহ্যপদার্থ, তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কত ক্ষণ লাগবে বোঝা কঠিন হচ্ছিল। 


কী হয়েছে?
মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক শশী পাঁজা পৌঁছে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে। মন্ত্রী জানাচ্ছেন, গত বছর গণেশ পুজোর সময়ও একটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। তবে সামলে নেওয়া গিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে যা খবর, তাতে প্রশাসন জানিয়েছে কেউ আটকে নেই। তবে ঘিঞ্জি এলাকায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে স্বাভাবিক ভাবেই ভয়ের আবহ। মাইকে করে সতর্কীকরণ করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল ১০টা নাগাদ একটি কাঠের গুদামে আগুন লাগে। দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে যায় আশপাশের আরও কয়েকটি গুদাম কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। এলাকায় বহু শ্রমিক থাকেন। রান্না করার সময় আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে এখন অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে।


হালেই অগ্নিকাণ্ড...
গত ২০ জুলাই দুপুরের দিকে ভবানীপুরের একটি বাড়িতে আগুন লাগে। দোতলা বাড়ির উপরের তলায় আচমকাই আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়াতেও শুরু করে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। বড় ধরনের অঘটন ঘটেনি। প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। 


তার পর এদিনের ঘটনা। কিন্তু কেন বার বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে শহরে? প্রশ্ন ছিলই। এদিনের পর নতুন করে তা আলোচনার কেন্দ্রে। 


আরও পড়ুন:'মানবিক অভিষেক, নিয়োগে আশ্বাস দিয়েছেন', বৈঠকের পর বললেন আন্দোলনকারী