বেঙ্গালুরু: উপাচার থেকে জাঁকজমক! একচুলও খামতি নেই কোথাও। অতিথি-পরিজনে গোটা বাড়ি ভিড়ে ছয়লাপ। বিয়ের (wedding) অনুষ্ঠানে যেমন হয় আর কী! শুধু বর-কনে (bride-groom) নেই। দুজনেই মারা (dead) গিয়েছে তিরিশ বছর আগে। 


মৃত্যুর পর বিয়ে...
চমকে উঠছেন? তা হলে শুনুন। কর্নাটকের (karnataka) দক্ষিণ কন্নড় জেলায় এমনই এক বিয়ের অনুষ্ঠান হল গত বৃহস্পতিবার। এবং এটি কিন্তু কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। কর্নাটক ও কেরলের বেশ কিছু অংশে এটি পরিচিত লোকাচার। জন্মের সময় মারা গিয়েছে এমন দুজনের বিয়ে দেওয়াই ওই এলাকার বাসিন্দাদের বহু পুরনো রীতি। অকাল প্রয়াতদের আত্মাকে সম্মান জানাতে বহু সময় ধরে এই লোকাচার মেনে আসছেন স্থানীয়রা। ঠিক তেমনই বিয়ের আয়োজন হয়েছিল বৃহস্পতিবার। রীতির নাম 'প্রেতা কল্যাণম।' 
শোভা এবং চন্ডাপ্পা। জন্মের সময়ই মারা গিয়েছিল দুজন। প্রায় তিরিশ বছর আগেকার কথা। দিন দুয়েক আগে তাদের বিয়ে হল, রীতিমতো ঘটা করে। টুইটারে সেই বিয়ের প্রতিটা মুহূর্তের ভিডিও দিয়েছেন অ্যানি অরুণ নামে এক ইউটিউবার। নিমন্ত্রিতের তালিকায় তিনিও ছিলেন। তাই শুরু থেকে শেষ, প্রায় সবটাই দেখেছেন।
এবং প্রতি মুহূর্তে বিস্ময়।


এলাহি আয়োজন...
অরুণ জানাচ্ছেন, বিয়ের প্রত্যেকটা নিয়ম মেনে চলা হয়  'প্রেতা কল্যাণম'-এ। বাগদানের জন্য দুই পরিবার একে অন্যের বাড়ি যায়। বরযাত্রী আসে। এমনকী 'সপ্তপদী'ও হয়। সেই ভিডিও টুইট-ও করেছেন ওই ইউটিউবার। গোটা দিনটায় কোথাও শোকের তিলমাত্র নেই। বরং হাসিঠাট্টা, চিৎকার, তদারকি-অর্থাৎ বিয়েবাড়িতে যা যা থাকার কথা সবটাই ছিল। শুধু তাই নয়। এলাহি খাওয়াদাওয়ারও বন্দোবস্ত ছিল শোভা এবং চন্ডাপ্পার বিয়েতে। মেনুও জানিয়েছেন অরুণ। ফিশ ফ্রাই, চিকেন সুক্কা, কাডল বলইয়ার, মাটন গ্রেভি---কত কিছু ছিল তাতে। যাদের জন্য এত কিছু, সেই শোভা ও চন্ডাপ্পাকে অবশ্য পুতুল বেশেই বিয়ে সারতে হল। আর হ্যাঁ। অবিবাহিত ও শিশুদের জন্য এই 'প্রেতা কল্যাণম'-এ প্রবেশ নিষেধ। তা বাদে বাকিটা হুবহু এক।
বরকনের 'নবজীবনের' সূচনাপর্বে কোনও ত্রুটি তো রাখা যায় না। 


আরও পড়ুন:'মানবিক অভিষেক, নিয়োগে আশ্বাস দিয়েছেন', বৈঠকের পর বললেন আন্দোলনকারী