সত্যজিৎ বৈদ্য ও শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: শিয়ালদায় (Sealdaha) জগৎ সিনেমার পাশে বাজারে আগুন (Fire)। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেল দমকলের ১০টি ইঞ্জিন।  ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। শোনা গিয়েছে একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আওয়াজ, দাবি স্থানীয়দের। 


কী রয়েছে?
জগৎ সিনেমার পাশে একটি মার্কেট কমপ্লেক্সের একেবারে উপরিতলে আগুন লাগে। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে কালো ধোঁয়া আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাটি এমনিতেই জনবহুল। ফলে আশপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধের দিকে মার্কেট কমপ্লেক্সের পিছনের অংশে আগুন লাগে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সংলগ্ন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি, এলাকার বাসিন্দাদেরও সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, দমকলের তরফে হাইড্রলিক ল্যাডার এনে সামনের দিক থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে।  কিন্তু যেটা আশঙ্কা বাড়াচ্ছে, তা হল ওই মার্কেট কমপ্লেক্সের ভিতর বেশ কয়েকটি সিলিন্ডার থাকতে পারে। প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছে, ওই বহুতল মার্কেট কমপ্লেক্সের সবচেয়ে উপরতলায় একটি গেস্ট হাউস রয়েছে। সেখানে কোনও দাহ্য পদার্থ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তার আগেই অবশ্য় পৌঁছে যান বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ।

তপসিয়ায় আগুন...
মাসখানেক আগেই তপসিয়ায় একটি রাসায়নিক কারখানায় আগুন লাগে। আগুন নেভানোর কাজে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। সেবারও ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলেন দমকলকর্মীরা। বস্তুত, মার্চ থেকে এপ্রিলের মাঝে ইতিমধ্যেই কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় বারবার আগুন লাগার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দাহ্য পদার্থ থাকায় তো বটেই কখনও শর্টসার্কিটের কারণেও মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে রাজ্য। সম্প্রতি তিলজলায় প্রিন্টিং কারখানাতেও ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে।  অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সেবার বাবা ও ছেলের। আর এক ছেলেকে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।  তবে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে। তাঁদের দাবি, আগুন লাগার খবর পেয়েও দেরিতে এসে পৌঁছেছিল দমকল বাহিনী। অপরদিকে, এপ্রিলের শুরুতে বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটেছিল রাজ্যে। সেবার ভরদুপুরে ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে গিয়েছিল রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের লোচনপুর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর এলাকা। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয় সেদিন প্রায়  ২৫টি বাড়ি। দমকল ও পুলিশ দেরিতে আসায় ক্ষোভ গিয়ে পড়েছিল পুলিশের গাড়িতেও। একটি পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, আগুনে পুড়ে গিয়েছিল প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি বাড়ি। বাড়িতে থাকা একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল বলে দাবি ছিল স্থানীয়দের। আগুনে পুড়ে গিয়েছিল সমস্ত কিছুই। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিল এলাকায় এই পরিবারগুলি।


আরও পড়ুন:মিটিংয়ে ধমক, হেনস্থা, অভব্য আচরণ! ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড