কলকাতা: মিলল না স্বস্তি। ফের ফেব্রুয়ারি পড়তেই লেলিহান শিখার গ্রাসের মুখে পড়তে হল। বেলগাছিয়ার মিল্ক কলোনির সেন্ট্রাল ডেয়ারিতে বিধ্বংসী আগুন (Fire Incident)। পরিত্যক্ত গুদামে আগুন। ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন (Fire Engine)।
রাজ্যে কারখানা-গুদাম-দোকানঘরে আগুন লাগার ঘটনার উদাহরণ ভুরিভুরি
রাজ্যে কারখানা-গুদাম-দোকানঘরে আগুন লাগার ঘটনার উদাহরণ ভুরিভুরি। কিন্তু কেন এই ঘটনা বারবার ফিরে আসছে। সব ক্ষেত্রেই কি অসতর্কতা ? নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে না ? একটু পিছনে ফিরে তাঁকালে উঠে আসবে মধ্যমগ্রাম-নিউব্যারাকপুরের মাঝে সেই গেঞ্জি কারখানার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কথা। সেবার শুধু আগুন লেগেই থেমেছিল না, আগুনে দগ্ধ হয়ে একাধিক কর্মীর মৃত্যুও হয়েছিল। পরে জানা গিয়েছিল, কারখানায় দাহ্য পদার্থ ছিল। আর আগুন লাগার পর কোনওভাবেই হয়তো চেয়েও বাইরে বের হতে পারেননি ওই কর্মীরা। শোকের ছায়া নেমেছিল গোটা এলাকায়। উদাহরণ আরও আছে অনেক। কিন্তু কথা হচ্ছে, লেলিহান আগুনের যবনিকা কোথায় গিয়ে পড়বে ? অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া হচ্ছে কি ?
অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া হচ্ছে কি ?
মূলত কারখানা, গোডাউন, শোরুমে আগুন লাগার ঘটনা বাদ দিলে বহুতলে আগুন লাগার ঘটনাও কম নেই। কারখানায় দাহ্য পদার্থ যদি কারণ হয়ে থাকে, শহরের একাধিক বাড়িতেও আগুন লাগার অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রধান খলনায়ক কারেন্টের তার অর্থাৎ শর্টসার্কিট এবং গ্যাস সিলিন্ডার বাস্ট করে আগুন। অমৃতসরের ওষুধের কারখানাতেও বিধ্বংসী আগুনের ঘটনা ঘটেছিল।ওই ঘটনায় একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, এই কারখানায় প্রায় ১৬০০ শ্রমিক কাজ করে। কারখানায় রাসায়নিক ভর্তি ড্রাম মজুত থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। ৮ ঘণ্টার লাগাতার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।
আরও পড়ুন, 'কেন্দ্র না দিলেও আমরা টাকা পাঠানো শুরু করেছি..', বড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
সঙ্কীর্ণ রাস্তায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছিল দমকল
গত বছরের অগাস্ট মাসে পশ্চিমবঙ্গের বউবাজার এলাকার বহুতলে আগুন লেগেছিল। তবে এক্ষেত্রে কারণটা ছিল ব্যাতিক্রমী। মূলত ওই বহুতলের বেসমেন্টে রাসায়নিকের গুদাম ছিল। সেখানেই আগুন লাগতে উপরের তলার ফ্ল্যাটের আবাসিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল আতঙ্ক। সঙ্কীর্ণ রাস্তায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছিল দমকল।কলকাতায় (Kolkata) এই বহুতলটির বেসমেন্টে রয়েছে মূলত রাসায়নিকের গুদাম। উপরের তলায় আবাসন, সেখানে আবাসিকরা রয়েছেন। সাততলা ভবনে বেসমেন্টে রয়েছে গুদাম। সেখানে রয়েছে রাসায়নিকের ড্রাম। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরণ (Exploitation) ঘটেছিল।