কলকাতা: হাওড়ার সভা থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্প ইস্যুতে আজ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভার (WB Assembly Poll 2024) ঠিক পর পরই এল খবর। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রের রিপোর্ট 'এগিয়ে রাজ্য।' বাইশে এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই খুশির প্লাবন নেমেছিল শাসকদলের অন্দরে। তার মানে এই নয় যে, তখন কেন্দ্রীয় এজেন্সির স্ক্যানারের কেউ ছিল না। কারণ একুশের ভোটের আগে ও পরেও শাসকদলের হেভিওয়েটদের তলবের মুখ পড়তে হয়েছিল। অধিকাংশ দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court) কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়েই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।


 ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির তদন্তে ED-র হানা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন..


কিন্তু বাইশে পেরিয়ে তেইশে পা দিতেই, সামনে আসে , পাকা বাড়ি থেকেও আবাস দুর্নীতির ঘটনা। এদিকে যার বাড়ি নেই, বা মাটির বাড়িতে কোনও রকমে ধুঁকছেন, তিনি যেই তিমিরে সেই তিমিরেই। শুরু হয় এরপরেই বঙ্গে কেন্দ্রীয় অফিসারদের অভিযান। তেইশের মাঝামাঝি নিয়োগ-রেশন-গরুপাচার নিয়েও কম জল গড়ায়নি। কিন্তু  লোকসভা নির্বাচনের বছরে পা দিতেই এবার বাদ গেল না ১০০ দিনের কাজও। গতকাল থেকেই জেলায় জেলায় ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির তদন্তে অভিযান চালিয়েছে ইডি। আজ হাওড়ার সভা থেকে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সাফ বললেন, '১০০ দিনের কাজ, আবাস প্রকল্পে আমরা এক নম্বরে ছিলাম, কেন্দ্র টাকা না দিলেও আমরা টাকা পাঠানো শুরু করেছি।'


আরও পড়ুন, দিঘায় পর্যটককে গণধর্ষণের অভিযোগ, প্রতিবাদে পথে শুভেন্দু


'কেন্দ্র না দিলেও আমরা টাকা পাঠানো শুরু করেছি..'


এবার কথা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সম্প্রতি ৪৮ ঘণ্টার ধর্নায় বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিনই আবার জল জীবন মিশনে রাজ্যকে ৪৫৬ কোটি টাকা পাঠায় রাজ্য। মমতা-অভিষেকরা যখন লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগকে ঢাল বানিয়েছেন। ঠিক তখনই দিল্লিতে, কেন্দ্রের থেকে পাঠানো টাকায় নবান্নের বিল মেটানো নিয়ে খোঁচা দেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও এদিন হাওড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীকে অনেকবার বলেও লাভ হয়নি, ৩ বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা মেলেনি। ২১ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে টাকা পায়নি, কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্র টাকা না দিলেও আমরা টাকা পাঠানো শুরু করেছি। অভিষেকের নেতৃত্বে বঞ্চিতরা দিল্লি গিয়েছিল, কিন্তু লাভ হয়নি।'