কলকাতা: ফের শহরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। তপসিয়ায় একটি রাসায়নিক কারখানায় আগুন (Tapsia Factory Fire)। আগুন নেভানোর কাজে ঘটনাস্থলে দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় সমস্যায় দমকলকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, মার্চ থেকে এপ্রিলের মাঝে ইতিমধ্যেই কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় বারবার আগুন লাগার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দাহ্য পদার্থ থাকায় তো বটেই কখনও শর্টসার্কিটের কারণেও মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে রাজ্য। সম্প্রতি তিলজলায় প্রিন্টিং কারখানাতেও ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সেবার বাবা ও ছেলের। আর এক ছেলেকে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে। তাঁদের দাবি, আগুন লাগার খবর পেয়েও দেরিতে এসে পৌঁছেছিল দমকল বাহিনী (Kolkata News)।
অপরদিকে, এপ্রিলের শুরুতে বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটেছিল রাজ্যে। সেবার ভরদুপুরে ভয়াবহ আগুনের (Massive Fire) গ্রাসে গিয়েছিল রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের লোচনপুর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর এলাকা। আগুনে (Massive Fire) পুড়ে ভস্মীভূত হয় সেদিন প্রায় ২৫টি বাড়ি। দমকল ও পুলিশ দেরিতে আসায় ক্ষোভ গিয়ে পড়েছিল পুলিশের গাড়িতেও (Police Car)। একটি পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, আগুনে পুড়ে গিয়েছিল প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি বাড়ি। বাড়িতে থাকা একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল বলে দাবি ছিল স্থানীয়দের। আগুনে পুড়ে গিয়েছিল সমস্ত কিছুই। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিল এলাকায় এই পরিবারগুলি।
ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয় সম্প্রতি বাঁকুড়ার জুতোর গুদাম (Bankura News)। সেই আগুন নেভাতে কার্যত হিমশিম খায় দমকল বাহিনী। সন্ধে থেকে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে টানাপোড়েনের পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছিল দমকল বাহিনী। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মধ্যরাত পার হয়ে যায়। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয় ওই ঘটনায়।
আরও পড়ুন, 'শকুনের রাজনীতি করছে BJP', কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে পাল্টা আক্রমণ কুণালের
মার্চ মাসে, গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের ঘোড়াদল বাজারে বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল ৬টি দোকান।রাত আড়াইটে নাগাদ ঘোড়াদল বাজারের একটি দোকানে প্রথমে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছিল। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল পরপর কয়েকটি দোকানে। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, জয়নগর থেকে দমকল পৌঁছতে একঘণ্টার বেশি সময় নেয়। দমকলের একটি ইঞ্জিনের ঘণ্টাচারেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও, সম্পূর্ণ পুড়ে যায় ৬টি দোকান।