কলকাতা: শুক্রবার সকালেই রাজারহাটের খালে উল্টে পড়ে একটি ভয়ঙ্কর বাস দুর্ঘটনা ঘটে। আর এইদিনই সরকারি বাসে আগুন। বিমানবন্দরের কাছে ফের সরকারি বাসে আগুন লাগে।
এদিন বিমানবন্দরের ১ নম্বর গেটের কাছে বাসে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আসানসোল থেকে কলকাতাগামী বাসে আগুন লাগে আচমকাই। এক প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, হঠাৎই ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। এরপর কিছু সময়ের মধ্যেই হঠাৎ দাউ দাউ করে আগুন লেগে যায়।
যখন বাস থেকে ধোঁয়া বেরতে শুরু করে তখনই টের পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। কোনওক্রমে বাস থেকে নেমে প্রাণ বাঁচান যাত্রীরা। ঘটনাস্থলে বিমানবন্দর থানা বিমানবন্দর ট্রাফিক গার্ড। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় তারপর।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগেই সাতসকালে চলন্ত বাসে আগুন লেগেছিল এমনভাবে, ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটাটাই। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপরে, ঘটে এই অঘটন। প্রায় আধঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই লেগেছিল এই আগুন।
এদিকে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই ব্রিজের রেলিংয়ে সজোরে ধাক্কা দিয়ে রাজারহাটে খালে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই বাস। বেড়াচাঁপা থেকে করুণাময়ী আসার পথে শুক্রবার সাতসকালে এভাবেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় এই বেসরকারি বাসটি। এই ঘটনায়, বাসের চালক ও খালাসি-সহ আহত হয়েছেন অন্তত ৪৬ জন। তাদের মধ্যে, ৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বাকিরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ রাজ্যের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে সম্প্রতি যাত্রীবোঝাই বাসে আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। গভীর রাতে এই দুর্ঘটনার সময় যাত্রীরা বেশিরভাগ ঘুমিয়ে ছিলেন। একটি স্কুটারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায় বাসে। দুর্ঘটনার সময় চালক ও সহকারী-সহ বাসে মোট ৪২ জন যাত্রী ছিলেন। জানলা ভেঙে ১৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার পর মৃত্যু হয়েছিল ওই স্কুটার আরোহীরও। এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্ঘটনায় আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।