কলকাতা: হরিদেবপুরের (Haridevpur) কবরডাঙা মোড়ে বহুতলে আগুন। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ দোতলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন (Flat Fire) লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন (Fire Engine)। আটকে পড়া বাসিন্দাদের নিরাপদে নামিয়ে আনেন দমকল কর্মীরা। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।


হরিদেবপুরের বহুতলের দোতলার ফ্ল্যাটে আগুন


বহুতলে অগ্নিকাণ্ড। ফ্ল্যাটের অন্যান্য বাসিন্দাদের দ্রুত বের করে আনা হচ্ছে। পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, আজ সকালে আগুন লাগার খবর পেতেই দমকলের একটি ইঞ্জিন তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি বুঝে ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়। বহুতলে আগুন লাগার ফলে গলগল করে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই আগুন আতঙ্কের মধ্যে প্রত্যেক বাসিন্দা। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে যাতে পার্শ্ববর্তী কোনও বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। 


অন্যদিকে, দিন পাঁচেক আগে পার্ক সার্কাসের (Park Circus) এক দোকানে আগুন (Shop Fire) লাগে। এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভারের (AJC Bose Road Flyover) মুখে দোকানে আগুন লাগে গত বুধবার রাতে। আগুনে সম্পূর্ণ হয়ে যায় ভস্মীভূত দোকান। গ্যাস লিক (Gas Leak) থেকে আগুন বলেই দাবি স্থানীয়দের। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। কী কারণে আগুন, খতিয়ে দেখে দমকল।


আগুনের লেলিহান শিখা দেখে স্পষ্ট দোকানের মধ্যে হয়তো আস্ত আর কিছুই নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় বেশ কিছুক্ষণ ধরেই আগুন জ্বলতে থাকে। রাত ৯টা নাগাদ একটি বহুতল বাড়ির একতলায় চায়ের দোকানে আগুন লাগে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গ্যাস লিক করাতেই আগুন লেগেছে। দমকলের ৩টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই বাড়ির ওপর তলায় বেশ কিছু বাসিন্দা রয়েছেন। তাঁরা নেমে আসেন। ওই দোকানের আশেপাশেও অন্যান্য দোকান রয়েছে। সেই দোকানগুলিও আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সকলেই রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বেশ কিছু সেই আগুন ছিল, ফলে ওই দোকানটি সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। 


আরও পড়ুন: AdenoVirus: ভয়ঙ্কর হচ্ছে ভাইরাসের থাবা, এরই মধ্যে কলকাতায় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যু আরও ২ শিশুর


তার আগের দিনও শহরে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়ায়। মেডিকা হাসপাতাল (Medica Hospital) চত্বরে আগুন লাগে এদিন। হাসপাতাল (Hospital) ভবনের বাইরে স্টোররুমে আগুন লাগে বলে জানা যায়। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। স্টোররুমের কাছেই জরুরি বিভাগ। জরুরি বিভাগের একাংশ থেকে সরানো হয় রোগীদের। বাইপাসের ধারে এই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও প্রচুর। ১ ঘণ্টার ওপরে অতিক্রান্ত হয়ে যায় আগুন লাগার। দমকল কর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে স্টোর রুমের দাহ্য বস্তু বাইরে বের করে আনেন। যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় আগুন নেভানোর কাজ চলতে থাকে। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন, 'এই স্টোর যেটা রয়েছে সেটা মূল হাসপাতাল চত্বরের বাইরে। ৫.১০ নাগাদ আগুন লাগে। দমকল কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে কম্পাউন্ডে বেশ কিছুক্ষণ ধোঁয়া ছিল। সবার চেষ্টাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গুরুতর কিছু হয়নি। মূল হাসপাতালে কোনও কিছু হয়নি।'