সন্দীপ সরকার, কলকাতা: সপ্তাহের মাঝে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta Medical Collge) অগ্নিকাণ্ড (Fire)। ইউপিএস রুমে লাগল আগুন। আতঙ্ক হাসপাতাল চত্বরে।  মেডিক্যাল কলেজের ইউপিএস রুমে (UPS Room) আগুন লাগে বলে ধারণা। সূত্রের খবর, মোবাইল ফোনের টর্চ জ্বেলে ৩ তলায় কিডনির অস্ত্রোপচার চলছিল। সেই সময়ই আগুন লাগে। দোতলায় ইউপিএস রুম। সেখান থেকেই অগ্নিকাণ্ড, প্রাথমিক ভাবে এমনই জানা গিয়েছে। 

নতুন নয় হাসপাতালে আগুন...  
মার্চের শেষ দিকে মুর্শিদাবাদের ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগুন লেগেছিল। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ চারতলা বিল্ডিংয়ের নীচের তলায় ইলেকট্রিক প্যানেল বক্সে আগুন লাগে। ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা বিল্ডিং। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। দ্রুত তাঁদের নামিয়ে আনা হয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে পৌঁছনোর আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলেন হাসপাতালের কর্মীরা। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে দমকল জানায়। আগুন থেকে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবুও আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতালে। সপ্তাহের কাজের দিনে এমনভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছিল হাসপাতাল চত্বরে। 


কদিন আগেই শিয়ালদায় বি আর সিং হাসপাতালে আগুন লেগেছিল। সেই দুপুরে আচমকা ধোঁয়া বেরোতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের আপদকালীন বিভাগে কাছেই আগুন লাগে। তা থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। আচমকা এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগীর পরিবার থেকে চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতাল কর্মীদের সকলে। আপদকালীন বিভাগের বাইরে বেরিয়ে আসেন চিকিৎসক, নার্স এবং হাসপাতালের কর্মীরা। খবর পেয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বিভাগ। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পৌঁছয় সেখানে। হাসপাতাল চত্বরে বসানো হয় হোসপাইপ।  জানলার গ্রিলের মধ্যে দিয়ে পাইপ ঢোকানো হয় ভিতরে। তার পর পুরোদমে কাজে নেমে পড়েন দমকল বিভাগের কর্মীরা। হাসপাতালের কর্মীদের সকলকে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে যেমন দমকলবাহিনী পৌঁছয়, তার পাশাপাশি এসে পৌঁছয় রেল পুলিশের একটি দলও। এন্টালি থানার একটি দলও পৌঁছয় হাসপাতালে। 


ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার মেডিকা হাসপাতালে আগুন লেগেছিল। হাসপাতাল ভবনের বাইরে স্টোররুমে আগুন লেগেছিল। সেখানকার কাছেই জরুরি বিভাগ থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সেখান থেকে সরানো হয় রোগীদের। মূল হাসপাতাল চত্বরে অবশ্য আগুন লাগেনি। দমকল কর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে স্টোর রুমের দাহ্য বস্তু বাইরে বের করে আনেন। যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় আগুন নেভানোর কাজ চলতে থাকে। চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেছিলেন, 'এই স্টোর যেটা রয়েছে সেটা মূল হাসপাতাল চত্বরের বাইরে। ৫.১০ নাগাদ আগুন লাগে। দমকল কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে কম্পাউন্ডে বেশ কিছুক্ষণ ধোঁয়া ছিল। সবার চেষ্টাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গুরুতর কিছু হয়নি। মূল হাসপাতালে কোনও কিছু হয়নি।'


  up10.abplive.com
  up12.abplive.com


 


Class 10


Class 12


 


আরও পড়ুন:আগামী পঞ্চায়েতে কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগ নয়, দিনহাটা থেকে বার্তা অভিষেকের