কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও রুমা পাল, কলকাতা: মহাকরণের ৫ নম্বর গেটের ভিতরে আগুন! কী থেকে আগুন, বোঝার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।  তবে বেশ কিছু নথি পুড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা দমকলের। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়েছেন বলে খবর নেই। 


কী ঘটল?
সন্ধের অন্ধকার তখন গাঢ় হতে শুরু করেছে। ঘড়িতে ৬টা বাজে প্রায়। হঠাৎ স্বরাষ্ট্র দফতরের এনআরআই বিভাগে আগুন দেখতে পান কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় দমকলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬টি ইঞ্জিন পৌঁছয়।হোসপাইপ দিয়ে জল নেভানোর চেষ্টা চলে। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নেভানোও যায় বলে খবর। তবে তার পরও বেশ কিছু ক্ষণ ওই চত্বর থেকে তীব্র পোড়া গন্ধ পাওয়া যায়। কোথা থেকে আগুন লাগল, সেটা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছে না দমকল। ফরেনসিক তদন্ত হলে তবেই ছবিটা স্পষ্ট হবে, জানান দমকলের ডিজি। অবশ্য প্রাথমিক ভাবে তাঁদের ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। সংবাদমাধ্যমকে পরে ডিজি জানান, একটি কম্পিউটার তার পড়ে গিয়েই বিপত্তি। আগুন লাগে সেখান থেকেই। খবর পেয়ে চলে আসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। 


ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান...
মহাকরণে এদিনের অগ্নিকাণ্ডে কেউ যে হতাহত হননি, সেটা স্পষ্ট। তবে এনআরআই সেকশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত যাঁরা বিদেশে যান, তাঁদের এই বিভাগে আসতে হয়। সে দিক থেকে দেখলে অগ্নিকাণ্ড চিন্তায় রাখছে অনেককে। একাংশের আশঙ্কা, বেশ কিছু নথি নষ্ট হয়ে থাকতে পারে এদিনের ঘটনায়। যদিও দমকলের ডিজি জানান, এ ব্যাপারে তাঁরা কিছু বলতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকরাই সবটা দেখে কিছু বলতে পারবেন। তবে কোথা থেকে আগুন লাগল, সেটা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তাঁরা। 


পর পর অগ্নিকাণ্ড কলকাতায়...
মহানগরে আগুনের ঘটনা এখন আর তেমন বিরল নয়। যেমন গত জুলাইয়েই ভরদুপুরে ভবানীপুরের একটি বাড়িতে আগুন লাগে। দোতলা বাড়ির উপরের তলায় আচমকাই আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়াতেও শুরু করে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। বরাতজোরে কোনও বড় ধরনের অঘটন ঘটেনি। তার আগে, ২০১৯-র এপ্রিলে ভয়াবহ আগুন লাগে কলকাতার চৌরঙ্গি রোডের একটি বহুতলে। ওই চারতলায় একটি ফ্যাশন ডিজাইনিং ইনস্টিটিউটের এসিতে শর্ট সার্কিটের জেরেই বিপর্যয় বলে প্রাথমিক ধারণা ছিল দমকলের। আগুন লাগার পর ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। আগুনের তীব্রতায় ভেঙে পড়ে বহুতলের ছাদের একাংশ। বড়সড় ফাটলও দেখা দেয়। ভেঙে পড়ে চাঙড়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে প্রায় ২ ঘণ্টা পর।


আরও পড়ুন:কলকাতার ১৩টি ওয়ার্ডকে ‘অতি ডেঙ্গি প্রবণ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, আপনার ওয়ার্ড আছে এর মধ্যে ?