ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: নাকতলার আবাসনে আগুন। ঝলসে মৃত্যু হল খাঁচাবন্দি বেশ কয়েকটি কুকুর ও বিড়ালের। গতকাল রাত ১টা নাগাদ আবাসনের একতলার ফ্ল্যাটে আগুন লাগে।
আবাসিকদের দাবি, ফাঁকা ফ্ল্যাটে খাঁচাবন্দি কয়েকটি কুকুর ও বিড়াল থাকত। এক ব্যক্তি রোজ এসে তাদের খেতে দিতেন। আবাসিকদের সন্দেহ, দুর্গন্ধের কারণে ফ্ল্যাটে ঢোকার সময় ধূপকাঠি জ্বালাতেন ওই ব্যক্তি। সেই ধূপকাঠি থেকেই আগুন লাগে বলে অনুমান আবাসিকদের। অবলা জীবগুলির মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আবাসনের বাসিন্দারা।
অন্যদিকে, তিলজলা রোডে চামড়ার কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। রাত ১২টা নাগাদ তিলজলা রোডের পাঞ্জাবি পাড়ায় ওই কারখানা থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা কারখানা। স্থানীয়রাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে দমকলের ৩টি ইঞ্জিনের ঘণ্টাদেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন, আজই কি দিল্লি যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল? অর্ডারের কপি পৌঁছল জেলে
এছাড়াও, বনগাঁর দেবগড় নেড়াপুকুর বটতলা এলাকায় দোকানে আগুন লাগে রবিবার। লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে এই ঘটনায়। মাঝরাতে আগুনের শিখা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা দোকান।
আশেপাশে আরও দোকান ও রেল কলোনি থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে যান বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। পরে দমকলের ২টি ইঞ্জিনের ঘণ্টাদুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
এদিকে, রবিবার শহরে একটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। ভোর সোয়া ৫টা নাগাদ নিউটাউন থেকে সায়েন্স সিটির দিকে যাওয়ার সময়, বেপরোয়া গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডানদিকের ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। গাড়ির গতি এতটাই ছিল যে, কংক্রিটের ডিভাইডারের একাংশ ভেঙে পাশের জলাশয়ে পড়ে এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চাকা ফেটে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িতে চালক-সহ ২ জন ছিলেন। চালক আহত হন। আরোহীরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, খতিয়ে দেখছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। যদিও চালকের দাবি, ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।