কলকাতা: চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের পরে সেই সেমিনার রুমে পুলিশের সামনেই বহিরাগত ভিড়, সামনে এসেছে এমনই একটি ভাইরাল ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছে আরজি কর আউটপোস্টের দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিককে, দেবাশিস সোম এবং সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ একাধিক জনকে। পুলিশের সামনেই ঘটনাস্থলে ভিড়, সুরক্ষিত আছে অপরাধস্থল? এত ভিড়ে কতটা সুরক্ষিত আছে অপরাধের তথ্য-প্রমাণ? উঠছে এমন প্রশ্নও।
এই প্রসঙ্গেই মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'ভিডিওটা দেখিছি ওইসময় ঢুকে গিয়েছিল। ফরেন্সিক আসার পরে ব্যারিকেড করে পুরো জায়গাটা তালা দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছিল। ওইসময় ঘটনা একটা ঘটলে কিছু কলেজের স্টুডেন্ট যারা কাছাকাছি থাকে তারা আগ্রহ নিয়ে আসেন। আমার মনে হয় না প্লেস অফ অকারেন্সটা পুলিশ ধরতে দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এই জঘন্য অপরাধের শাস্তি হবেই।
বিজেপির তোপ:
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার তোপ, 'এই ছবি প্রমাণ করে দিল ভাঙচুর করার আগেই সমস্ত তথ্যপ্রমাণ লোপাটের কাজ হয়েছে। এই ভিড় করে ওই রুম থেকে সব তথ্যপ্রমাণ যাতে লোপাট হয়ে যায় তার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। দেহ থাকতেই তথ্য লোপাট করা হয়েছে। ওখানে ওই সময় যাঁরা ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। যাঁদের অযোগ্যতায় এখানে বিপুল সংখ্যক লোক ঢুকল তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করা দরকার বলে আমরা মনে করি। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ।'
পুলিশের দাবি:
যদিও সাংবাদিক বৈঠক করে এই ভাইরাল ভিডিও নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক। পুলিশের দাবি, '৫১ ফুটের সেমিনার রুম, ৪০ ফিট পর্যন্ত কর্ডন করা ছিল। ৪০ ফিটের বাইরে ১১ ফিট এলাকায় অনেক মানুষ ছিলেন। চিকিৎসক-সহ সবাই ছিলেন ওই ৪০ ফিট কর্ডন করা এলাকার বাইরে।' লালবাজারের দাবি, ৪০ ফিট এলাকায় কোনও বহিরাগতরা ছিল না। পুলিশ জানিয়েছে, 'কর্ডন করা এলাকায় নির্দিষ্ট কয়েকজন ছিলেন। মা-বাবা-সহ নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাড়া কর্ডন করা অংশে কেউ ছিলেন না। কর্ডন করা ৪০ ফিট এলাকায় কোনও বহিরাগত ছিল না।' সেমিনার রুমে কী করছিলেন আইনজীবী? লালবাজারের জবাব, 'কেন আইনজীবী ছিলেন, তা বলতে পারবেন হাসপাতালের আইনজীবী।' ঘটনাস্থল থেকে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ কার্যত খারিজ পুলিশের।
আরও পড়ুন- ভারতে আসছে ভিভো 'টি' সিরিজের আরও একটি নতুন ফোন, এবার কোন মডেল?