হিন্দোল দে ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ক্যানিংয়ে (Canning) ৩ তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার (Arrest)। কুলতলি (Kultali) থেকে ধৃত আফতাবউদ্দিন শেখ। সে ক্যানিংয়েরই বাসিন্দা।


ক্যানিংয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ১


ক্যানিংয়ে গুলি করে কুপিয়ে ৩ তৃণমূল নেতাকে খুন করা হয় গত পরশু। সেই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারের নাম আফতাবউদ্দিন শেখ। এফআইআরে নাম থাকা বশিরউদ্দিন শেখের দাদা আফতাবউদ্দিন।


পুলিশের দাবি, ঘটনার দিন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজির গতিবিধি সংক্রান্ত খবর খুনিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল আফতাবউদ্দিন। খুনের তিনদিন আগে ক্যানিংয়ের ধর্মতলার মাঠে বসে গোটা ব্যাপারটা পরিকল্পনা করা হয়।  


আফতাবউদ্দিনকে বলা হয়, তৃণমূল নেতা স্বপন মাজি কখন বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কাদের সঙ্গে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে খোঁজ রাখতে। এর জন্য মোটা টাকা দেওয়ার লোভও দেখানো হয়। অপারেশনের সময় মোটরবাইক নিয়ে ৩ তৃণমূল নেতাকে অনুসরণ করার পাশাপাশি, আততায়ীদের কাছে তথ্য পৌঁছে দিচ্ছিল আফতাব। গুলি চলার পরেই সে এলাকা ছাড়ে। অন্যদিকে, ৩ তৃণমূল নেতাকে খুনের ২ দিন পরেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দার-সহ এফআইআরে নাম থাকা ৬ অভিযুক্ত।


আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: অনুব্রত-র কেনা একাধিক জমির দলিলের মিলল হদিস !


নৃশংস হত্যাকাণ্ড ক্যানিংয়ে


ক্যানিংয়ে জনবহুল এলাকায়, মোটরবাইক থামিয়ে তিন তৃণমূল নেতাকে গুলি করে, গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝি, গোপালপুর এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি ভূতনাথ প্রামাণিক এবং যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতি ঝন্টু হালদারের। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পিয়ারের পার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি তাজা বোমা এবং তিনটি গুলির খোল।


এ দিন বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। সেই আবহে গোটা ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন সওকত। তিনি বলেন, "এই এলাকায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই। সমাজ বিরোধীরা একত্রিত হয়েছে এবং সম্পূর্ণ ভাবে বিজেপি-র মদতে হয়েছে। স্বপন আমাদের একজন সক্রিয় পঞ্চায়েত সদস্য (Panchayat Election)। দু'জন বুথ সভাপতি। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, খুন না করলে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে না। সেই কারণে পরিকল্পিত ভাবে খুন।"