কলকাতা: জলপাইগুড়ি ও কালিয়াগঞ্জের ঘটনার পর দেহ ছাড়ার ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলির জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হলে তবেই মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে ছাড়তে হবে। স্পষ্ট জানানো হল নির্দেশিকায়।
জলপাইগুড়ি হোক বা কালিয়াগঞ্জ,একাধিক অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা। শববাহী গাড়ি না পেয়ে, কখনও মায়ের দেহ কাঁধে নিয়ে লম্বা পথ পাড়ি দিয়েছে সন্তান। কখনও, একরত্তির দেহ ব্যাগে নিয়ে হাসপাতাল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে বাড়িতে পৌঁছেছেন বাবা। এই প্রেক্ষাপটে, মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার আগে হাসপাতালগুলিকে নয়া নির্দেশিকা দিল নবান্ন।
" target="_blank">
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হলে তবেই মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে ছাড়তে হবে। মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য যদি কোনও ব্যবস্থা না থাকে, তা হলে কর্পোরেশন, পুরসভা বা পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে নির্দিষ্ট পরিবহণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কিছু ঘটনা দেখা গেছে যেখানে এমনভাবে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যা দৃষ্টিকটূ। সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না হওয়ার জন্যই মৃতদেহ সেই ভাবে নিয়ে যেতে হচ্ছে। যদিও এই নির্দেশিকায় আপত্তি জানিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, “স্বাস্থ্যসাথীর মতো হাল হবে। যাদের সামর্থ্য আছে তাঁদেরও বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটাই মার খাচ্ছে। আবার একটা বিতর্ক তৈরি হবে। যিনি গাড়ি করে আসছেন তিনিও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা নিচ্ছেন। চটজলদি এই সমস্যার সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে সমস্যা। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হবে চিকিৎসকদের।’’ নবান্নের এই নির্দেশিকায় কি রোখা যাবে জলপাইগুড়ি ব কালিয়াগঞ্জের ঘটনার পুনরাবৃত্তি? উঠছে প্রশ্ন।
https://www.abplive.com/exam-results/wb-board-12th-result-5e6615bf76c62.html/amp
https://news.abplive.com/exam-results/wb-board-higher-secondary-result-5e68a35cb902c.html/amp
গত ১৪ মে টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করতে না পেরে মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে ফিরতে হয় বাবাকে। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের এই মর্মান্তিক ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল শুরু হয়। সূত্রের খবর, অসুস্থ সন্তানকে বুধবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মা। খাদ্যনালীতে সংক্রমণের কারণে তার আগের দিন গভীর রাতে মৃত্যু হয় ৪ মাসের শিশুর। অভিযোগ, পরের দিন দুপুর ১২টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে মৃত শিশুকে ফেরত আনতে গেলে মেলেনি সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স। বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স ৮ হাজার টাকা দাবি করায়, শেষমেশ জামাকাপড় ভর্তি ব্যাগে সন্তানকে ভরে বাড়ির পথে রওনা হন বাবা। এর আগে, ২০ এপ্রিল, অ্য়াম্বুল্যান্সের টাকার সংস্থান না করতে পেরে ট্রেনে করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয় বর্ধমানের বাসিন্দা মেনকা কোড়ার। তার প্রায় সাড়ে ৩ মাস আগে, বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় কাঁধে করে মায়ের মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে ফিরতে হয় জলপাইগুড়ির বাসিন্দাকে।এই দুই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক মর্মান্তিক ছবি উঠে এল উত্তর দিনাজপুরে।
আরও পড়ুন: Dream Meaning: আপনার স্বপ্নে কি মাঝেমধ্যে কোনও ব্যক্তি উপস্থিত হয়? এর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে?