বিশ্বজিৎ দাস, মেদিনীপুর: বিজেপিতে পিকনিক-‘রাজনীতি’। বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) গৃহদাহের আবহে বিক্ষুব্ধ নেতা-বিধায়কদের নিয়ে দু’দফায় পিকনিক করেছেন শান্তনু ঠাকুর ( Shantanu Thakur ) । এবার, নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত খড়গপুরের ওয়ালিপুর এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে পিকনিক করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । ধরলেন মাছ!!
পিকনিকের ফাঁকে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও সারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানেই, শান্তনু ঠাকুরদের পিকনিক করা নিয়ে পাশে দাঁড়ান দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন , ' জানি না কে বিদ্রোহী কে কী। সবাই পার্টির লোক পার্টিতেই আছেন। একসঙ্গে যে কেউ পিকনিক করতে পারে। আমরা শীতের সময় সব জায়গায় কার্যকর্তাদের নিয়ে পিকনিক করি। কে কীভাবে দেখছেন জানি না। কার্যকর্তারা এক জায়গায় মিলিত হয়ে পিকনিক করলে সেখানে কিছু দোষ দেখি না আমি।'
আরও পড়ুন :
নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হল রাজধানীকে, 'নো-ফ্লাই জোন' ঘোষণা
মেদিনীপুরের (Medinipur) বিজেপি নেতা স্বপন বেরা বলেন , ' আগামীদিনের লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেটাকে সামনে রেখে আমরা এগনোর জন্য বনভোজনের আয়োজন করেছিলাম।'
নেতা-কর্মীদের নিয়ে পিকনিক দিলীপ ঘোষের। কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি কটাক্ষ করে বলেন, ' ভারতীয় জনতা পার্টি এখন, ভারতীয় পিকনিক পার্টি হয়ে গেছে। সবাই দেখছি পিকনিক করছে। আগে দলের গোষ্ঠী, ঝগড়া থামান। জয়প্রকাশ পিকনিক করেছিল বলে দিলীপপবাবুকে পিকনিক করতে হবে! এটাকে বলে অসম প্রতিযোগিতা। এটাই বিজেপিকে ডুবিয়ে দিচ্ছে।' সব মিলিয়ে, বিজেপির পিকনিক নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।
বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠক ও বনভোজনের পর, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সেদিন তাঁর পাশে দাঁড়ানো জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, রীতেশ-জয়প্রকাশকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কি বাকিদেরও কড়া বার্তা দেওয়া হল? না কি মতুয়া ভোট এবং মতুয়া জনপ্রতিনিধিদের কথা মাথায় রেখেই বড় কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে বা রাজ্য বিজেপি?
বুধবার প্রজাতন্ত্র দিবসে সকলকে শুভেচ্ছা জানান দিলীপ ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন পতাকা উত্তোলনের ছবি।