বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি : অভিনব উপায়ে পাচার হচ্ছিল বিদেশি মদের বোতল। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৭ লাখ টাকা। পেটি পেটি মদ যেভাবে চোখের আড়ালে পাচার করা হচ্ছিল, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের। বাঁধাকপি ভর্তি পিক আপ ভ্যানটিকে দেখলে সন্দেহ হওয়ার কথাই নয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগে থেকেই সতর্ক ছিল রাজ্য আবগারি দফতরের আধিকারিকরা। তাই কোনও কিছু সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখা হয়নি। অবশেষে আবগারি দফতরের জালে লক্ষ লক্ষ টাকার বিদেশি মদ । 

রাজ্য আবগারি দফতরের সূত্রে খবর, পিক আপ ভ্যানে  বাঁধাকপির নিচে রাখা ছিল বিদেশি মদের বোতল। সন্দেহ হওয়াতে শিলিগুড়িতে গাড়ি ও পিক আপ ভ্যানটিকে  আটক করা হয়। দুটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৭২ পেটি বিদেশি মদ। চার পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য আবগারি দফতর।  ধৃতরা বিহারের বাসিন্দা।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার  ভোররাতে অভিযান চালায় জলপাইগুড়ি ডিভিশনের আবগারি দফতরের আধিকারিকরা। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ শিলিগুড়ির চম্পাসারি এলাকায় মহানন্দা ব্রিজের ওপর প্রথমে একটি গাড়ি আটকানো হয়। এর পিছনেই ছিল পিক আপ ভ্যান। দুটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৭২ কার্টন বিদেশি মদ। যার বাজারমূল্য ১৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। সিকিম থেকে বিহারে মদ পাচার করা হচ্ছিল বলে আবগারি দফতরের অনুমান। 

গাঁজা পাচারের চেষ্টা 

অন্যদিকে, মালদায় গাঁজা পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে ২ জন।  ট্রলি ব্যাগে করে প্রায় ১১ লক্ষা টাকার গাঁজা পাচার করছিলেন  দুই জন।  গ্রেফতার করে  মালদা জি আর পি। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তিরা  ট্রলি ভর্তি গাঁজা নিয়ে মালদা টাউন স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় মালদা জিআরপি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদর আটক করে, তল্লাশি চালায়।  উদ্ধার হয় ২৭ হাজার ২৪৩ কেজি গাঁজা।        জিআরপি সুত্রে জানা গিয়েছে,ধৃত দের নাম ঝন্টু সরকার । বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার সাগর পাড়া থানার নরসিংহপুর গ্রামে। অপর জনের নাম গোবিন্দ উপাধ্যায় । ২ জনেরই বয়স ৩৫ এর আশেপাশে । গাঁজা দিল্লিতে পাচার করার চেষ্টায় ছিল তারা।  আই সি প্রশান্ত রায় জানান, ধৃতরা এদের মালদা টাউন স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল দিল্লি যাওয়ার উদ্দেশে। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সতর্ক ছিল জিআরপি।