অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি ফুলবদল করছেন জন বার্লা? প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদকে ঘিরে জোর জল্পনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলিপুরদুয়ারক জেলা সফরেই বার্লা পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলে জোর জল্পনা। বেশ কিছু দিন ধরেই বিজেপি-তে বেসুরো বাজছেন তিনি। এবার বিজেপি ছেড়ে তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে। (John Barla)
মাদারিহাট উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তিন দিনের আলিপুরদুয়ার সফরে গিয়েছেন মমতা। সেখানে প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি, সরকারি সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠান রয়েছে। আর সেই অনুষ্ঠানে বার্লাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বার্লা নিজেই সেকথা জানিয়েছেন এবিপি আনন্দ-কে। তাহলে কি বার্লার তৃণমূলের যোগ দেওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা? শুরু হয়েছে জল্পনা। (Mamata Banerjee)
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী ও আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বার্লা। গত লোকসভা ভোটে তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। পরিবর্তে টিকিট দেওয়া হয় মনোজ টিগ্গাকে। আর সেই থেকেই পদ্মশিবিরে বেসুরো বাজছেন বার্লা। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বার্লার আমন্ত্রণ পাওয়া নিয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিচ্ছেন অনেকে। তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে কিছু না জানালেও, বার্লার দাবি, ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে চা-বলয় এবং জনজাতিদের সমস্যার কথা জানাবেন তিনি।
এ নিয়ে এবিপি আনন্দের তরফে বার্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমাকে নিমন্ত্রণ করেছেন। উনি আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আমি চা-শ্রমিক নেতা, আদিবাসী নেতা হিসেবে বসতেও পারি। আমি অস্বীকার তো করতে পারি না! প্রশাসনিক বৈঠকে ডাকছেন, নিশ্চয়ই যাব। মুখ্যমন্ত্রী তো অভিভাবক। ওঁর সঙ্গে না বসলে, দূরে থাকলে, ওঁর কাছে সমস্যা গুলি তুলে ধরতে পারব না।"
বার্লা জানিয়েছেন, চা-বাগান, জনজাতি, ডুয়ার্স, হাসপাতাল, বিমানবন্দর সংক্রান্ত সমস্যাগুলি তুলে ধরবেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে যে জল্পনা, তা নিয়ে কী বলবেন? বার্লা বলেন, "ওটা ভবিষ্যতের কথা। পরে ভাবা যাবে।" মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগদান নিয়ে গেরুয়া শিবিরে কী প্রতিক্রিয়া, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। জবাবে বার্লা বলেন, "আমাদের আলিপুরদুয়ারে কে নেতৃত্ব দিচ্ছে এখন? কে আছে ওই রকম নেতা? কেউ তো নেই লিডার এখানে। নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি আছে।" রাজ্য নেতৃত্বের কথা উঠলেও একই সুর ধরা পড়ে গলায়। বলেন, "রাজ্যেও তো ভাগাভাগি আছে। সমস্যা কে শুনবে?" মুখ্যমন্ত্রীর সামনে সমস্যাগুলি তুলে ধরতে পারলে নিশ্চয়ই সমাধান হবে বলে আশাবাদী বার্লা।