বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: জল্পনা বাড়িয়ে তৃণমূলের শহর সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর স্ত্রী সুমনা মহাপাত্র।
তৃণমূলের পাঁশকুড়া শহর সভানেত্রী ছিলেন সুমনা। ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রীর স্ত্রী সুমনা মহাপাত্র।
সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সম্প্রতি চিঠি লিখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সীকে। আগেই সৌমেন মহাপাত্রকে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। এবার নিজেই দলীয় পদ ছাড়লেন সৌমেনের স্ত্রী সুমনা। উনি ব্যস্ততার কারণে সময় দিতে না পারায় এই ইস্তফা, অস্বস্তি ঢাকতে দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রাক্তন মন্ত্রীর স্ত্রীর দলীয় পদ ছাড়া নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদেহ কথায়স কাটমানি সঠিক পরিমাণে পাঠাতে না পারায়, দলে গুরুত্ব কমে গিয়েছিল, তাই পদত্যাগ।
আরজিকর কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌমেন মহাপাত্র ছেলে তথা ডা. বোধিসত্ত্ব মহাপাত্রর নাম জড়িয়ে বিতর্কিত পোস্ট করা হয়। সেই দিন সুমনা মহাপাত্রর মুখে দলের একাধিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ শোনা গিয়েছিল। যদিও দলীয় পদ ত্যাগ করা নিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের স্ত্রী সুমনা মহাপাত্র বলেন, "ব্যক্তিগত কিছু কারণ রয়েছে যার জন্য এই পথ ছাড়ছি। কিন্তু দলের সাধারণ কর্মী হিসেবে দল যখনই আমাকে যা কাজ দেবেন সেই কাজ পালন করার চেষ্টা করব। পদ ছাড়াই সক্রিয় কর্মী হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন করব।"
যদিও এই নিয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "উনি আমার কাছে কোন পদত্যাগ পত্র পাঠাননি। গতকাল রাতে আমাকে ফোনে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। উনি জানিয়েছেন উনি খুব ব্যস্ত দলে সময় দিতে পারছেন না সেই কারণেই পদত্যাগ করেছেন।'' যদিও এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পট্টনায়ক বলেন,"ওঁর স্বামীর পদ আগেই চলে গেছে। ওঁরও পদ যেতে বসেছে সেইজন্য আগাম উনি পদত্যাগ করেছেন। কে কতটা রসদ কালীঘাটে পাঠাতে পারবে তার ওপরই পদ থাকবে। নিশ্চয়ই কম পরিমাণে কাটমানি পাঠাচ্ছে তাই দল থেকে পথ চলে যাবে তাই নাটক করছে। টাকা খাওয়ার সম্পূর্ণ লড়াইয়ে হয়ত উনি হেরে গেলেন তাই আগেভাগে পদত্যাগ করলেন।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Junior Doctors Hunger Strike: 'শর্ত' বেঁধে নবান্নে বৈঠকের ডাক, কী করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা?