কলকাতা: ১০ দফা দাবি আদায়ে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের আজ ১৬ দিন। অনশন প্রত্যাহার করলে তবেই সোমবার নবান্নে বৈঠক, শর্ত জানিয়ে ই-মেল করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। অনশন চালিয়ে বৈঠকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা।


কোন কোন শর্তের কথা বলা হয়েছে? 


গতকাল ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে যান মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। সেখান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে অনশনকারীদের। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথার পরে অনশনকারীদের 'শর্ত' বেঁধে বার্তা দিয়েছে সরকার। যেখানে বলা হয়েছে, 'অনশন প্রত্যাহার করে সোমবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠকে বসতে হবে। সোমবার বিকেল ৫টায় বৈঠক, আসতে হবে বিকেল সাড়ে ৪টায়। বৈঠক হবে ৪৫ মিনিটের, ১০ জন জুনিয়র ডাক্তার যোগ দিতে পারবেন। কতক্ষণের বৈঠক, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। 


অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে মুখ্য়সচিব মনোজ পন্থ লিখেছেন, "আপনাদের তোলা সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তারপরও আপনাদের অনুরোধ অনুযায়ী, যদি সেগুলি নিয়ে আরও আলোচনা চান, তাহলে ২১ অক্টোবর সোমবার অনশন প্রত্যাহারের পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য আপনাদের ১০ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। বিকেল পাঁচটায় নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠক হবে। মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় ৪৫ মিনিট সময় এই বৈঠকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। তাই বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যেই নবান্নে পৌঁছে যেতে এবং ১০ জন প্রতিনিধির নাম আগাম জানানোর জন্য বলা হচ্ছে।''


কী করবেন আন্দোলনকারীরা? 


মুখ্যমন্ত্রীর এই আহ্বানের পর সোমবারের বৈঠকে যেতে রাজি হলেও, অনশন চালিয়ে যাওয়ার অবস্থানে অনড় থাকেন আন্দোলনকারীরা। ইমেল পাঠানোর পর  আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত কর বলেন, "অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ ওরা শুরুর দিন থেকেই করছেন। আমরা মনে করি আমাদের অনশন করতেই হত না যদি আমাদের দাবিগুলি ওঁরা আগেই মেনে নিতেন। আমরা এখনও মনে করি আলোচনার মাধ্যমে জট কাটানো সম্ভব। হয়তো উনি কিছুটা দেরি করেই সোমবারের সময় দিয়েছেন। ততক্ষণ অবধি আমাদের সহযোদ্ধারা এখানে অনশনেই থাকবেন। মোটামুটি আমরা এটুকু সিদ্ধান্তে রয়েছি যে আমরা সোমবার যাচ্ছি।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Weather Update: দীপাবলির আগে ভাসবে রাজ্য, বাংলার আকাশে ফের দুর্যোগের ঘনঘটা