কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরে ব্যাপক রদবদল। রাজ্য পুলিশের নতুন ভারপ্রাপ্ত ডিজি হলেন রাজীব কুমার (Rajeev Kumar)। আজই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে মেয়াদ শেষ মনোজ মালব্যের (Manoj Malviya)। আর এই দিনই রাজীবের নিয়োগের ঘোষণা হল। এর আগে, কলকাতার নগরপাল ছিলেন রাজীব। সারদা মামলায় নাম জড়ানোর পর তাঁর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শহরের রাস্তায় ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)


এতদিন রাজ্য সরকারের তথ্য, প্রযুক্তি এবং বৈদ্যুতিন দফতরের প্রধান সচিব ছিলেন। সাধারণত IAS অফিসাররা এই পদে আসীন হন। কিন্তু  রাজ্য সরকারের তরফে IPS অফিসার রাজীবকে ওই পদে বসানো হয়। বুধবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, রাজ্য সরকারের তথ্য, প্রযুক্তি এবং বৈদ্যুতিন দফতরের থাকছেনই রাজীব। সেই সঙ্গে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত ডিজি করা হচ্ছে তাঁকে। আগামী তিন বছরের জন্য রাজ্য পুলিশের উপদেষ্টা করা হচ্ছে মনোজকে। (West Bengal DG)


রাজীবকে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত ডিজি করার ঘোষণা হতেই মুখ খুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, "আমার মতো নির্দোষকে কারও নির্দেশে কাউকে বলি দিতে যাবেন না। ভগবান ভাল করেন না। "


আরও পড়ুন: Buddhadeb Sau: নীলবাতির গাড়িতে চেপে ক্যাম্পাসে, এখনও যাদবপুরের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন বুদ্ধদেবের, একমত নয় JUTA


২০১৯ সালে রাজীবের সরকারি বাসভবনে হানা দেয় CBI, তার প্রতিবাদে ধর্মতলায় মেট্রো ওয়াই চ্যানেলে ধর্নায় বসেন মমতা। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণ প্রতিহিংসামূলক, রাজনৈতিক স্বার্থে তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেন। সেই ধর্নামঞ্চে রাজীবকেও দেখা যায়। IPS অফিসার কেন রাজনৈতিক মঞ্চে হাজির হয়েছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও সেই সময় মমতা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্যের পুলিশের। সেই দায়িত্ব পালন করতেই ধর্নাস্থলে পৌঁছেছিলেন রাজীব। তিনি ধর্নায় বসেননি।


সারদা মামলার তদন্তে ২০১৩ সালে রাজ্য পুলিশ পৃথক সিট গঠন করে, যার দায়িত্বে ছিলেন রাজীব। পরে মামলা যায় সিবিআই-এর হাতে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে সারদা মামলার তদন্ত গতি পায়। সেই সময় সাক্ষ্যদানের জন্য রাজীবকে ডেকে পাঠানো হয়। বার বার তিনি হাজিরার নির্দেশ এড়িয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে। সিবিআই দাবি করে, সারদা মামলার নথি লুকোচ্ছেন রাজীব।