কলকাতা: নিজে নিয়োগ করে, নিজেই বরখাস্ত করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বুদ্ধদেব সাউ। বরখাস্ত হওয়ার পরই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল তাঁকেষ বুধবার নীলবাতি লাগানো গাড়িতে চেপে ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেখা গেল তাঁকে। কোর্ট বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি বুদ্ধদেবের। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন JUTA তাঁর এই দাবির সঙ্গে একমত নয়। (Buddhadeb Sau)
বাংলায় ফ্ল্যাশার বিহীন নীলবাতির গাড়ি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের। সেই মতোই এদিন নীলবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেখা যায় বুদ্ধদেবকে। গাড়িতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীকচিহ্নও লাগানো ছিল। তবে নীলবাতির গাড়ি নয়, রাজ্যপাল যাঁকে বরখাস্ত করেছেন, তিনি এখবও অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন কী করে, উঠছে প্রশ্ন। (Jadavpur University)
যদিও জবাব দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেছেন বুদ্ধদেব। তাঁর বক্তব্য, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বড় যে কোর্ট, সেখানে দু'টি চিঠি ফেলা হয়েছিল, তার নিরিখে ঠিক হয়েছে উপাচার্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়া যাবে।" যদিও JUTA-র দাবি, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অনুমোদন দেওয়া হলেও, তার পর অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি বুদ্ধদেবকে। ফলে গোটা ঘটনায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Anupam Hazra: পদ হারিয়ে হিমালয়ে যাচ্ছেন অনুপম, জল্পনা বাড়িয়ে তাঁর প্রশংসা তৃণমূলের কাজল শেখের
রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগের রাতে বুদ্ধদেবকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল। সেই সময় বুদ্ধদেবের পাশে দাঁড়ায় রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য। সেই মতো সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাজির হন তিনি। জানান, রাজ্যের তরফে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোর্টও অনুমোদন দিয়েছে। তাই সমাবর্তনে পৌরহিত্য করছেন তিনি। যদিও আইনি সমস্যার কথা মাথায় রেখে তাঁর হাত দিয়ে পড়ুয়াদের ডিগ্রির শংসাপত্র প্রদান করা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে একদিন আগে মুখ খোলেন রাজ্যপালও। জানান, অনুমোদন ছাড়া, বেআইনি ভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান করা হয়েছে। ডিগ্রির যে শংসাপত্র সেখানে বিলি করা হয়েছে, তা বাতিল হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কার কথাও কানে আসছে বলে জানান। এমনকি আইনি পদক্ষেপের ইঙ্গিতও দেন। যদিও বুদ্ধদেবের দাবি, নিয়ম মেনেই সমাবর্তনের অনুষ্ঠান হয়েছে।