সন্দীপ সরকার, কলকাতা: দিল্লিতে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ। কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে অভিযুক্তর হদিশ পেল পুলিশ। চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁকে আপাতত নোটিস ধরানো হয়েছে। সুস্থ হলেই, দিল্লির মায়াপুরী থানায় দিতে হবে হাজিরা।

দিল্লিতে প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমে, কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করল দিল্লি পুলিশ। ধৃতের নাম রাজেশ গুপ্ত। বাড়ি দিল্লির শ্যামপুর এলাকায়।তার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। রাজেশের শ্বশুরবাড়ি এরাজ্য়ের সন্দেশখালিতে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লিতে কাঠের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন রাজেশ গুপ্ত। সেখানে এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার থেকে কাজের বরাত পান তিনি। অভিযোগ, কাজ না করেই দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে গায়েব হয়ে যান রাজেশ। কিছুদিন পর কর্তৃপক্ষের নজরে আসে, তাদের সংস্থার নামে একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। আসল সংস্থার গ্রাহকরাও চলে যাচ্ছে ভুয়ো সংস্থার ওয়েবসাইটে। দিল্লির মায়াপুরী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ জানতে পারে, এটা রাজেশের কারসাজি। খবর পেয়ে ২১ জুলাই, দিল্লির শ্যামপুরে রাজেশের ডেরায় হানা দেয় দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ দেখতে পেয়েই, রাজেশ ৩ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালান। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানা যায়, কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে ঘাপটি মেরে রয়েছে সে। সেইমতো, আরজি কর মেডিক্যালে আসেন দিল্লি পুলিশের ২ ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে পুলিশ জানতে পারে, ভাঙা পা নিয়ে এখানে ভর্তি রয়েছেন রাজেশ গুপ্ত। চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁকে আপাতত নোটিস ধরানো হয়েছে। সুস্থ হলেই, দিল্লির মায়াপুরী থানায় হাজিরা দিতে হবে রাজেশকে।

এদিকে জালিয়াতির মামলার সূত্র ধরে ফের এপারে ঘাঁটি গেড়ে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। গত ২৭ জুলাই এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ জানান এক যুবক। ম্য়াট্রিমনি সাইটে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয়। আর ওই তরুণীর ডাকে সাড়া দিয়ে, হোটেলে উঠে সর্বস্ব খোয়ানোর অভিযোগ। ওই তরুণী কিছু মেশানো কফি খাইয়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন করে যুবকের সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। যুবকের অভিযোগ পেয়ে পাত্র সেজে ম্যাট্রিমনি সাইটে ফাঁদ পাতে পুলিশ। ২৭ জুলাই রাতেই এয়ারপোর্ট লাগোয়া হোটেল থেকে অভিযুক্ত তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত তরুণী জেরায় জানান, তিনি এক যুবকের কাছে চুরির মালপত্তর বিক্রি করেন। এরপর দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে তরুণীর চুরির পার্টনার ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, চোরাই মালের রিসিভার ওই যুবক আদতে বাংলাদেশি। লুঠের জিনিস তিনি বাংলাদেশেও পাচার করতেন। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের জড়িত থাকার সম্ভাবনা দেখছেন তদন্তকারীরা।