Fruits: আমাদের শরীরে কোনও ভিটামিনের অভাব হওয়া যেমন ভাল নয়, তেমনই কোনও মিনারেলসের ঘাটতি হওয়াও উচিত নয়। এমনই একটি মিনারেলস হল ম্যাগনেসিয়াম। আমাদের শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব দেখা দিলে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে অস্বাভাবিক ক্লান্তি লাগতে পারে আপনার। আচমকা পেশীতে টান ধরতে পারে, বিশেষ করে মাঝরাতে। পেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও সারা শরীরে অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব হতে পারে। সর্বক্ষণ একটা ঝিমানো ভাব গ্রাস করবে আপনাকে। কাজে এনার্জি পাবেন না। অল্প পরিশ্রমেই ভীষণ ক্লান্ত হয়ে যাবেন। 

ম্যাগনেসিয়ামের অভাব মেটানোর জন্য প্রতিদিন কয়েকটা ফল খেলে অনেক উপকার পাবেন আপনি, কোন কোন ফল খেতে হবে, রইল তালিকা 

  • শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে রোজ খেতে পারেন অ্যাভোকাডো। ব্রেকফাস্টে টোস্টের সঙ্গে মাখনের পরিবর্তে খান অ্যাভোকাডো পেস্ট। অ্যাভোকাডোতে শুধুমাত্র ম্যাগনেসিয়াম নয়, রয়েছে পটাশিয়াম এবং হেলদি ফ্যাটও। এই ফল খেলে ভাল থাকে হার্ট। 
  • কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল তা সকলেই জানেন। কলায় রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম। রোজ একটা কলা খেতে পারেন। রোজ শুধু কলা খেলে খেতে ভাল না লাগলে স্মুদির মধ্যে মিশিয়ে নিন এই ফল। পেটও ভরবে। মিটবে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতিও। তবে অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে কলা খাওয়ার ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকা ভাল।            
  • ডুমুর - এই ফল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। শুকনো ডুমুর খেতে পারলে আরও ভাল। ডুমুর খেলে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি মিটবে। বিভিন্ন ধরনের ফলের মধ্যে ডুমুরে ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ন্যাচরাল সুইটনারের কাজও করে এই ফল। 
  • বিভিন্ন ধরনের জাম-জাতীয় ফল খাওয়া সব সময়েই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। এর মধ্যে ব্ল্যাকবেরি খেলে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি মিটবে। ম্যাগনেসিয়ামের পাশাপাশি ব্ল্যাকবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। রোজ অল্প পরিমাণে এই ফল খাওয়া যেতেই পারি। 
  • আজকাল অনেকেই কিউই ফল খেয়ে থাকেন। এই ফল খেলে আপনার শরীরের ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি মিটবে। ফ্রুট স্যালাডে কিউই দিয়ে খেতে পারেন আপনি। এছাড়াও খেতে পারেন কিউইর রস। সবেতেই প্রচুর উপকার পাবেন।           

এই ফলগুলো মাঝে মাঝে খেতে পারলে আপনার শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হবে না। সুস্থ থাকবেন আপনি।           

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।