ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ব্যাঙ্ক (Bank) থেকে ঋণ (Loan) না নেওয়া সত্ত্বেও ঋণ শোধের জন্য চাপ। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মোবাইল ফোনের কনট্যাক্ট লিস্ট ও গ্যালারি হ্যাক করে পরিচিতদের কাছে হেনস্থা করার অভিযোগ। পুলিশে অভিযোগ দায়ের মুম্বই নিবাসী রাজ্যের এক সুরকারের। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


প্রথমে লাগাতার এসএমএস। পরে হোয়াটসঅ্যাপ। একাধিক নম্বর ব্লক করেও মেলেনি রেহাই। ফোন হ্যাক করে পরিচিতদের নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ। অভিনব উপায়ে প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ মুম্বই নিবাসী রাজ্যের এক সুরকার। নাম অনুরাগ হালদার। বারাসাতের বাসিন্দা এই ব্যক্তি পেশাগত কারণে থাকেন মুম্বইতে। তাঁর অভিযোগ, কোনও ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ না নেওয়া সত্ত্বেও ঋণ শোধের জন্য চাপ দিয়ে সম্প্রতি তাঁর মোবাইল ফোনে কয়েকটি এসএমএস আসে। উত্তর না দেওয়ায় আসতে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ।


নানা অছিলায় ব্যাঙ্ক থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। প্রতি ক্ষেত্রেই এই ফোনকেই মাধ্যম করেছে প্রতারকরা। কখনও এটিএম নম্বর চেয়ে কখনও বা ব্যাঙ্কের ম্যানেজার নাম করে ফোন করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ফাঁদে যাতে কেউ পা না দেন, তার জন্য চালানো হয়েছে সচেতনতমূলক প্রচারও। কিন্তু সচেতন হয়েও মিলছে না রেহাই। এবার অভিনব উপায় প্রতরণার চেষ্টার অভিযোগ।  মুম্বইনিবাসী সুরকার অনুরাগ হালদারের অভিযোগ, “কোনও লোন নিইনি, তা সত্বেও টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়।’’ অনুরাগের দাবি, নম্বর ব্লক করে দিয়েও রেহাই মেলেনি। ফোন হ্যাক করে পরিচিতদের কাছে আপত্তিকর মেসেজ পাঠিয়ে হেনস্থা করা হয়। তিনি বলেন, “নম্বর ব্লক করে দিই। তখন মোবাইল হ্যাক করা হয়। পরিচিতদের কাছে আপত্তিকর মেসেজ পাঠানো হয়।‘’ শেষমেষ পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: Kolkata: ডি এল খান রোডে সাতসকালে লুব্রিক্যান্ট ভর্তি মিনিডোর উল্টে আহত চালক