সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: সাতসকালে পিটিএসের কাছে ডি এল খান রোডে দুর্ঘটনা। লুব্রিক্যান্ট ভর্তি মিনিডোর উল্টে আহত চালক। সকাল ৭টা নাগাদ ডি এল খান রোড ও পিটিএসের মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে। পিটিএসের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় মিনিডোর। রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে লুব্রিক্যান্ট। ফলে যান চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। মিনিডোরের চালক এসএসকেএমে চিকিত্সাধীন। গতি বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। লুব্রিক্যান্ট ছড়িয়ে থাকায় রাস্তায় বাইক উল্টে আহত হয়েছেন ২ জন।


উল্লেখ্য, ২ দিন আগেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনার সম্মুখিন হয়েছিলেন এক ছাত্রী। মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Examination) দিতে যাওয়ার পথে সাংঘাতিক দুর্ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Paraganas) উস্তির উত্তরকুসুমের কারবালার বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যদিও ওই ছাত্রীকে অবশেষে হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। সহায়তায় এগিয়ে আসেন উস্তি থানার পুলিশ, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। 


ঠিক কী ঘটে এদিন? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মামার বাইকে করে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার আগে উস্তি থানার কেঁশলী এলাকায় একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাইকটি ধাক্কা মারে একটি গাছে। দুর্ঘটনায় বেশ আহত হয় ওই ছাত্রী। গুরুতর জখম অবস্থায় পরীক্ষার্থীকে স্থানীয়রা বানেশ্বরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। এরপর ছাত্রীর অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। চিকিৎসকরা তখন তাকে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।


কিন্তু মাধ্যমিক তো জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথেই এমন দুর্ঘটনা। তাহলে পরীক্ষার কী হবে? ছাত্রীর এমন অবস্থার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছে যান স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন। তারপর হাসপাতালেই ওই ছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ছাত্রীর অভিভাবক।