গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কথায় আছে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার! বছর ঘুরলেই গঙ্গাসাগরে পূণ্য়স্নান। শুরু হয়ে গেল ২০২৪ এর সাগর মেলার প্রস্তুতি। ক্যালেন্ডার বলছে, আগামী ১৪ জানুয়ারি গঙ্গাসাগরের পুন্যস্নান। প্রতিবার গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন। সেই কথা মাথায় রেখে এবারও থাকবে কড়া নজরদারি।


২০২৪ এর গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে হল বৈঠক।  উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও। এবছর মেলায় রেকর্ড ভিড় হওয়ার কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর বন্দোবস্ত করতে চলেছে প্রশাসন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এবার জোর দেওয়া হবে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের ওপর। যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে একাধিক টেলিকম সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে প্রসাসনের তরফে।   


আরও পড়ুন :


মুম্বইয়ে INDIA-র পাল্টা বৈঠকে মহারাষ্ট্রের NDA শিবির


অন্যদিকে পুণ্যার্থীদের ভোগান্তি কমাতে কপিলমুনি মন্দিরের সামনে সাগরতটের ভাঙন রোধ ও মুড়িগঙ্গা নদীর পলি কাটার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে, খবর প্রশাসনিক সূত্রে। দুটি কাজই সেচ দফতরের অধীন। দফতরের আধিকারিকদের এই কাজ দুটি নিয়ে দ্রুত পরিকল্পনার নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। এছাড়া মেলার দিনগুলিতে টেলি পরিষেবার ওপর এবার বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড়ে বিচ্ছিন্ন গঙ্গাসাগর দ্বীপের টেলি পরিষেবা প্রতিবারই ভেঙে পড়ে। এবার বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাকে পরিষেবা উন্নত করার কথা মাথায় রেখে পরিকাঠামো তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


মকর সংক্রান্তির দিনই সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় গঙ্গাসাগরে । তাই এইদিন বাড়তি নিরাপত্তা থাকতে পারে বলে খবর। চলতি বছর গঙ্গাসাগর মেলা হয়েছিল ৮ থেকে ১৭ জানুয়ারি অবধি । এ বছর মেলার বিশেষ আকর্ষণ ছিল সাগর আরতি। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এ বছর গঙ্গাসাগরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধন করেন তিনটি হেলিপ্যাডের। সাগরমেলাকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণার জন্য ফের দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তিনি বলেন, 'কুম্ভমেলা ওয়েল কানেক্টেড, কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলা ভেবেছেন? একটা একটা মানুষকে জল দিয়ে বেরিয়ে আসতে হয়। তাই মুড়িগঙ্গা নদীর উপর সেতু করা দরকার। ১০ কোটি টাকা লাগবে। সেই জন্য বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে কোনও রেসপন্স পাইনি। গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসাবে ঘোষণা করার দাবি করছি কেন্দ্রের কাছে।'