ব্রতদীপ ভট্টাচার্য এবং সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: ভোর হতে না হতেই গঙ্গাসাগরের সৈকতে জনজোয়ার। আলো ফোটার আগেই ফুটে উঠল বিধিভঙ্গের ছবি। কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন সমুদ্র সৈকতে। চলছে পুণ্যস্নান। ঘুচেছে দূরত্ববিধি। মুখে নেই মাস্ক। কেন মাস্ক পরেননি? প্রশ্ন করতেই হাজারো যুক্তি দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। সবাই যাতে কোভিডবিধি মেনে চলে, সেজন্য মাইকে অনবরত প্রচার করে চলেছে পুলিশ-প্রশাসন। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষণ নেই কারও মধ্যেই। ফলে জনবিস্ফোরণের কাছে পুলিশ কার্যত দর্শকের ভূমিকায়।             


বৃহস্পতিবার থেকেই ধীরে ধীরে গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়ছে। কাকদ্বীপের লট এইট থেকে শুরু হয়েছে কচুবেড়িয়াগামী ভেসেল পরিষেবা। পরিস্থিতি পরিদর্শনে মেলায় উপস্থিত মন্ত্রী শশী পাঁজা। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় গঙ্গারতির আয়োজন করা হয়েছে। আজ রাত থেকে শুরু হবে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। করোনা আবহে এবারও ই-স্নানে জোর দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় তত্পর প্রশাসন। নজরদারি চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বিনা মাস্কে দেখলেই সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি, চলছে মাইকে প্রচার। কপিল মুনির আশ্রম, মেলা চত্বর মাঝেমধ্যেই স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। লকগেট তৈরি করে মন্দির চত্বরে প্রতিবারে ৫০ জন করে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তবে মন্দিরের ভিতরে সাধু-সন্ন্যাসীদের অনেকের মুখেই নেই মাস্ক।               


আরও পড়ুন, ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮, শুরু হয়েছে লাইন পরিষ্কারের কাজ





অন্যদিকে, মকর সংক্রান্তির সকালেও বাবুঘাট থেকে পুণ্যার্থী বোঝাই বাস রওনা দিল গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে। কিন্তু, বাস স্ট্যান্ডে যথেষ্টই ঢিলেঢালা ছিল নজরদারি। চেক করা হচ্ছে না RTPCR টেস্টের রেকর্ড। শুধুমাত্র ভ্যাকসিনেশনের কাগজ দেখেই পুণ্যার্থীদের গঙ্গাসাগরে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, আজ সকাল থেকেই পুণ্যস্নান চলছে বাবুঘাটেও।         


এদিকে, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মাঘ মেলায় দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৮ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৬৯ জন মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আজ মকর স্নান। ফলে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাঘ মেলা করোনার সুপার স্প্রেডার হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই সতর্কতাবাণী শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।