পার্থপ্রতিম ঘোষ, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা :  আশঙ্কা  বাড়াচ্ছে গঙ্গাসাগরমুখী পুণ্যার্থীদের ভিড়ের এই ছবিগুলো।  দূরত্ববিধি তো দূরের কথা, অনেকের মুখে মাস্কও নেই! আছে আজব যুক্তি। কেউ বলছেন , 


- ' গঙ্গার থেকে করোনা বড় নাকি?' 


- ' করোনাকে তাড়িয়ে দেব প্রার্থনা করে' 


অ্যাডিশনাল সিপি প্রবীণ ত্রিপাঠী, জয়েন্ট সিপি অখিলেশ চতুর্বেদী এবং ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়ার নেতৃত্বে মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের একটি দল আউট্রাম ঘাট, বঙ্গবাসী গ্রাউন্ডে গিয়ে নজরদারি চালায়। মাইকে সচেতনতা প্রচার করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোথায় সচেতনতা ? বাবুঘাট থেকে কাকদ্বীপ সব জায়গায় উদাসীন পুণ্যার্থীরা।  ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ না নেওয়া থাকলে গঙ্গাসাগরগামী পুণ্যার্থীদের বাসে উঠতে দেওয়া হবে না। নির্দেশ হাইকোর্টের। তাই বুধবার সকাল থেকেই বাবুঘাটে এ নিয়ে প্রচার চালায় পুলিশ। সেখানে ব্যবস্থা করা হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়ার।  চলছে আরটিপিসিআর টেস্টও। কিন্তু বেপরোয়া অনেক সাধু। গায়ে ভস্ম, মুখে মাস্ক নেই। কখনও তা ঝুলছে কান থেকে। এক সাধুর তো সটান জবাব, 'সাধু হচ্ছে সাদা, সাধু হচ্ছে সৎ, সাধু হচ্ছে ত্যাগের প্রতীক'। অর্থাৎ সাধু হলে আবার মাস্ক , ভ্যাকসিন লাগে নাকি, যুক্তি তাঁদের। 


যে সব কাউন্টার থেকে বাসের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে, সেখানে গিয়ে সতর্ক করে দেন পুলিশকর্মীরা।  গোটা ব্যবস্থা তদারকি করার জন্য আজ বাবুঘাটে হাজির ছিলেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।  পুলিশের তরফে জানানো হয়, যাঁদের ভ্যাকসিনের একটি ডোজ নেওয়া আছে, তাঁদের বাবুঘাটেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।  সকালে বাবুঘাটে দেখা যায় থিকথিকে ভিড়। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই।  


করোনা আবহে মকর সংক্রান্তির স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। মকর সংক্রান্তিতে জমায়েত বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকারও। এই প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকরা প্রশ্ন তুলছেন, গঙ্গাসাগর নিয়ে বাংলা এই পথে হাঁটতে পারল না কেন? এনিয়ে শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।