গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাগরমেলার (Gangasagar Mela 2024) প্রস্তুতিতে বড় বাধা মুড়িগঙ্গা নদীর নতুন চর, সেচ ও সুন্দরবন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে জরুরী বৈঠক জেলাশাসকের।  জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে সাগরমেলা। কিন্তু তার আগেই মেলার প্রস্তুতিতে বড়সড় বাধার মুখে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীতে নতুন চর তৈরি হওয়ায় ভেসেল চলাচল প্রতিদিন ব্যহত হচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শেষ হওয়ার কথা ছিল মুড়িগঙ্গা নদীর পলি কাটার কাজ। কিন্তু নতুন চরের জেরে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসল জেলা প্রশাসন (District Administration)।


বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার পৌরহিত্যে বসল জরুরী বৈঠক। ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। বিকেলে আসেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। দীর্ঘক্ষণ মুড়িগঙ্গা নদীতে জল মাপার পাশাপাশি চলল পর্যবেক্ষণ। পরে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও বঙ্কিম হাজরা সমস্যার কথা স্বীকার করে নিলেন।  অতিরিক্ত পলি কাটার যন্ত্র বসানো হবে বলে জানালেন পার্থ ভৌমিক। ভেসেলের কর্মীদের মুখেও আশঙ্কার কথা শোনা গেল। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নদীর পলি কাটা শেষ করার কথা থাকলেও অনিশ্চতায় তৈরি হয়েছে।


মকর সংক্রান্তিতে সাগরমেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসবে সারা দেশ থেকে। পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের অন্যতম ভরসা কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদী। দীর্ঘদিন ধরে এই নদীতে পলি জমতে থাকায় ভাটার সময় যাত্রী পারাপারের ভেসেল বন্ধ রাখতে। মেলা শুরুর দিন কুড়ি আগেও গড়ে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ভেসেল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। প্রতিদিন চরম হয়রান হতে হচ্ছে সাগরের বাসিন্দা থেকে তীর্থযাত্রীদের।


আরও পড়ুন, পেট্রোলের দর বাড়ল দেশের এই শহরগুলিতে, কলকাতায় কত ? 


কথায় বলে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। গতবছর মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) উপলক্ষ্যে গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) পুণ্যস্নান করেছিলেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। পুণ্য অর্জনের লক্ষ্যে সাগরসঙ্গমে দেখা মিলেছিল রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের। সাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণার দাবি আগেই তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।একই সুর শোনা গিয়েছিল কপিল মুনির আশ্রমের প্রধান পুরোহিতের কণ্ঠেও। জ্ঞানদাস মোহান্ত বলেন, 'রাজ্য সরকার ভাল ব্যবস্থা করেছে। মোদির কাছে আবেদন এই মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা হোক।'  তবে গতবছর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় উধাও হয়েছিল শীতের কামড়। যদিও তেইশের শেষেও আচমকা আবহাওয়ার পরিবর্তন। জানুয়ারিতে কেমন আবহাওয়া থাকবে, তা নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই।