গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাগরমেলার (Gangasagar Mela 2024) যাত্রাপথে ফের বিপত্তি। কাকদ্বীপের লট নং আট ও কচুবেড়িয়ার মাঝামাঝি মুড়িগঙ্গা নদীর চরে আটকে গেল দুটি পুণ্যার্থীভর্তি ভেসেল। প্রায় ঘন্টাখানেকের বেশি সময় আটকে থাকে দুটি ভেসেল। ইতিমধ্যেই আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের জন্য পানীয়জল ও শুকনো খাবার নিয়ে পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা ।


সাগর মেলার প্রথম দিনেও বিপত্তি দেখা গিয়েছিল। ঘন কুয়াশার জেরে ব্যাহত হয়েছিল ভেসেল পরিষেবা। প্রায় দেড়-দু’ঘণ্টা পুরোপুরি বন্ধ ছিল পারাপার। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছিল। কাকদ্বীপের লট এইট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত মুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন।দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসন বন্ধ করে দিয়েছিল ভেসেল পরিষেবা।ওইদিন কাকদ্বীপের লট নং আটের জেটিঘাটে দীর্ঘ লাইন পড়ে গিয়েছিল পুণ্যার্থীদের। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মুড়িগঙ্গায় ডুবে গিয়েছিল একটি বাংলাদেশি জাহাজ। ডুবে যাওয়া সেই জাহাজের ওপর ১০ বছর ধরে পলি জমতে জমতে তৈরি হয়ে গেছে আস্ত চর। কপিলমুনির আশ্রমে যেতে হলে কাকদ্বীপের লট এইট থেকে মুড়িগঙ্গা নদী পেরোতে হয়। ওপারে কচুবেড়িয়া। সেখান থেকে আরও এক ঘণ্টার পথ গঙ্গাসাগর। কিন্তু বিপত্তি অন্য জায়গায়। মেলার আগে মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে থাকা বাংলাদেশি বার্জকে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। পরে তা আদৌ কেটে তোলা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন। 


আরও পড়ুন, বোঝার আগেই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা, ফোন রিসিভ করে সর্বস্বান্ত বীরভূমের বাসিন্দা


যদিও এবার একাধিক বন্দোবস্তের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ৫ লক্ষ ইন্স্যুরেন্স সহ গণ পরিবহন, চিকিৎসার ব্যবস্থা সম্পর্কে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,'মেলায় যাঁরা আসছেন তাঁদের জন্য ইন্স্যুরেন্সের সুবিধা থাকছে। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইন্স্যুরেন্স দেওয়া হবে। পুলিশ, ভলেন্টিয়ার, তীর্থযাত্রী সহ সাংবাদিকরা এই সুবিধা পাবেন। গঙ্গাসাগর মেলায় কোনও সমস্যা হলে রয়েছে টোল ফ্রি নম্বরও। এবারের মেলায় মোট ২১টি জেটি ব্যবহার করা হবে। আড়াই হাজার বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছ’টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, একশোটি লঞ্চ, অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জিপিএস ট্র্যাকিং, স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং করা হবে। দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ২৪০০ সিভিল ডিফেন্স ও অন্যান্য ভলেন্টিয়ারও নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু মেলার জন্যই ৩০০ বেডের চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স, প্যারা মেডিক্যাল থাকবেন। ক্রিটিক্যাল কেয়ারের রোগীদের জন্য থাকছে গ্রিন করিডরের বন্দোবস্ত।'