গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নতুন বছরের শুরুতেই গঙ্গাসাগর মেলা। কিন্তু বছরশেষের আগেই ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। জানুয়ারির শুরুতে রাজ্যের অন্যতম বড় মেলা সাগরমেলা। কিন্তু একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে সাগরতটের ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে।  


ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ভাঙন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙন এলাকা থেকে কপিল মুনির আশ্রমের দূরত্ব কমেছে। ছোট হচ্ছে মেলার মাঠ। আগামী বছরের সাগর মেলার প্রস্তুতি তাই চ্যালেঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন মেলার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছে। এদিন গঙ্গাসাগর মেলা অফিসে মেলার পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত সব দপ্তর ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার আধিকারিকদের উপস্থিতিতে চলছে বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, সেচ দফতরের সচিব মণীশ জৈন, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও।                                                                


ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র কিছুটা প্রভাব পড়েছে এ রাজ্যের উপকূলেও। দানা আছড়ে পড়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয় সুন্দরবনজুড়ে। শুক্রবার সকালে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রমের ৩, ৪ ও ৫ নম্বর মেলার মাঠে কোমর অবধি জল জমে যায়। ঝড়ের তাণ্ডবে সাগরের বেশ কিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে। ভোর থেকেই গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজে নেমে পড়েন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা পূর্ব ঘোষণা মতো শুক্রবার সকালে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু, গোটা সুন্দরবনজুড়েই বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। বকখালিতে এদিন মুষলধারে বৃষ্টি হয়। সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া। বকখালির সমুদ্র সৈকতে ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়েছে গ্লোসাইন বোর্ডের একাংশ। গোসাবাতেও বৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।   


অন্য়দিকে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ওড়িশার ধামরার কাছে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'! পুরী বা দিঘায় তেমন কোনও প্রভাব না পড়লেও ঝড় তাণ্ডব চালায় ওড়িশার ভদ্রক, জাজপুর সব বেশ কিছু এলাকায়। লাগাতার বৃষ্টিতে বানভাসি হয়েছে বালেশ্বরের একাংশ। বুধা বালঙ্গ নদীর জল ঢুকছে রেমনা ব্লকে। বাড়িঘর ডুবে গিয়েছে, জলের তলায় চলে গিয়েছে চাষের জমি। গ্রামবাসীরা আশ্রয় নিয়েছেন জাতীয় সড়কের ওপর, কেউ ট্রাক্টর বা ম্যাটাডোরে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।    


আরও পড়ুন: East Burdwan: ট্রেন ও প্লাটফর্মের মাঝে পা, ছুটে এল আরপিএফ, তারপর?